প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাসান আজিজুল হকের পৈত্রিক বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায়। ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ওই জেলার যবগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাই তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ।
এক শোকবার্তায় মমতা বলেন, ‘তার প্রয়াণে সাহিত্য জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি হাসান আজিজুল হকের আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে রাজশাহীর নিজ বাসায় তিনি মারা যান। গত একমাস ধরে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন হাসান আজিজুল হক। বাসায় রেখেই তার চিকিৎসা চলছিল।
এর আগে অসুস্থ অবস্থায় চলতি বছরের গত ২১ আগস্ট এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই সপ্তাহের বেশি সময় চিকিৎসা নেন তিনি। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ৯ সেপ্টেম্বর তাকে রাজশাহী নেওয়া হয়।
হাসান আজিজুল হকের জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজশাহীতে কাটিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ৩১ বছর অধ্যাপনা করেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে নগরের চৌদ্দপায় এলাকার আবাসিক এলাকা ‘বিহাস’-এর নিজ বাসা ‘উজান’-এ বসবাস করছিলেন।
তিনি একাধারে গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ লিখেছেন। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য সাহিত্যে অবদানের জন্য হাসান আজিজুল হক ১৯৬৭ সালে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। এরপর লেখক শিবির পুরস্কার, অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার-সম্মাননা পান তিনি।
১৯৯৯ সালে তাকে ‘একুশে পদকে’ ভূষিত করে সরকার। ২০১৯ সালে পান দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার।