সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০৪:১০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ইমতিয়াজ মাহমুদ সায়েমের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। আহত হওয়ার চার দিন পার হলেও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি তিনি।
হাসপাতালে ভর্তি গুরুতর আহত আরেক শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়ার মাথায় অস্ত্রোপচারের পর খুলি খুলে রাখা হয়েছে ফ্রিজে। মাথার ব্যান্ডেজে লেখা– ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’। টানা চার দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তাকে নেওয়া হয় আইসিইউতে। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এখন কেবিনে দেওয়া হয়েছে। মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।
পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপক জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘মামুনের অবস্থা কিছুটা ভালো। তার জ্ঞান ফিরে আসছে। এখন কেবিনে তার চিকিৎসা চলছে। মাথার ব্রেনের অংশে অপারেশন করায় আপাতত খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তার মাথায় হাড় নেই। এক-দুই মাস পর অথবা অবস্থা অনুযায়ী খুলি আবার লাগানো হবে।’
অন্যদিকে আহত আরেক শিক্ষার্থী সায়েমের পরিস্থিতি এখনো আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, সায়েমের সাড়াদানের মাত্রা মঙ্গলবার ৩ থেকে ৫/৬ এসেছে। বুধবার পর্যন্ত ৮/৯ এ ছিল। এই মাত্রা সাধারণত আমাদের ১৫ থাকে। গতকাল মেডিক্যাল বোর্ড বসেছিল। এখন আবার অপারেশন করতে হতে পারে।
এ ছাড়া গুরুতর আহত হওয়া ইসলামের স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলামের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসকেরা। সংঘর্ষের দিন তাকে পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হলে আইসিউতে রাখা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি এবং ডান হাতের রক্তনালি ছিঁড়ে যাওয়ায় ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গত ৩০ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইট সংলগ্ন জোবরা গ্রামে এক ছাত্রীর ভাড়া বাসার গেট খোলাকে কেন্দ্র করে দারোয়ানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জেরে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ওই রাতে শুরু হওয়া ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আর সংঘর্ষ পরদিন চলে দফায়-দফায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উপ-উপাচার্য, শিক্ষার্থী, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যসহ আহত হন পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।