মার্চ ১৮, ২০২৫, ১২:২১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের ২৮৯ জন নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান এসব তথ্য জানান। এর আগে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়।
উপাচার্য কামরুল আহসান বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
“ওই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে যাদের ছাত্রত্ব শেষ, তাদের সনদ স্থগিত করা হবে। যারা পরীক্ষা ও ভাইভা দিয়েছে তাদের ফলাফল স্থগিত এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।”
তিনি বলেন, “আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আরও কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
এদিকে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আবু হাসান অবসরে চলে যাওয়ায় তাদের পেনশন সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা স্থাপনার নাম বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ রাসেল হল এবং শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া ১৫ জুলাইয়ের রাত জাবিতে ‘কালোরাত’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ রাতেই বেশ কয়েকজন শিক্ষকের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।