বেসরকারি স্কুলে ভর্তিতে নতুন নির্দেশনা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২৮, ২০২৪, ১০:০২ পিএম

বেসরকারি স্কুলে ভর্তিতে নতুন নির্দেশনা

প্রতীকী ছবি

দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে ভর্তির কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

সোমবার (২৮ অক্টোবর) প্রকাশিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের এন্ট্রি শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকলে সাধারণভাবে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবে। 

রাজধানীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ফিতে অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা নেওয়া যাবে না। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং এমপিও বর্হিভূত শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার জন্য ভর্তি ফিতে বাংলা মাধ্যমে ৮ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বাধিক ১০ হাজার টাকা নেওয়া যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ফি বাবদ ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করা যাবে না। 

মফস্বল এলাকায় ভর্তি ফি সেশন চার্জসহ সর্বসাকুল্যে ৫০০ টাকা, পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১,০০০ টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২,০০০ টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩,০০০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। 

একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এক ক্লাস থেকে পরবর্তী ক্লাসে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে, তবে পুনঃভর্তির ফি নেওয়া যাবে না। 

নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা ভর্তি কালে গ্রহণ করতে হবে, যার মধ্যে ৭০ টাকা অবসর তহবিল ও ৩০ টাকা কল্যাণ তহবিলে জমা দিতে হবে। 

শিক্ষার্থীর বয়স সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬+ বয়সের শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর হতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত জন্মতারিখের শিক্ষার্থীদের ভর্তি হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত জন্মতারিখের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ বয়স হবে। 

নতুন বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য বয়স নির্ধারণে সর্বাধিক ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হবে। 

ভর্তি প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ ও কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ নির্ধারণ করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে। 

ঢাকা মহানগরীর স্কুলগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে স্কুল সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করতে হবে। 

ভর্তির ব্যয় নির্বাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, ভর্তি ফি থেকে ৮৫ শতাংশ স্কুল, ১০ শতাংশ ভর্তি কমিটি, ৩ শতাংশ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এবং ২ শতাংশ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ভর্তি সংক্রান্ত কাজে ব্যয় করবে। 

নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেসরকারি স্কুল, কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কি না তা তদারকি করবে ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ভর্তি কমিটি। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান অনুমতি বা একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিল করা হবে। এ নীতিমালার প্রয়োগকালে কোনো অস্পষ্টতা দেখা দিলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী তা সমাধান করতে হবে।

Link copied!