শিক্ষকদের আন্দোলনে ফের পুলিশের বাধা, জলকামান

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম

শিক্ষকদের আন্দোলনে ফের পুলিশের বাধা, জলকামান

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পাওয়ার দাবিতে মহাসমাবেশ থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেছেন আন্দোলনরতরা। সচিবালয়মুখী রাস্তায় তারা পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন। তারা সেই রাস্তাতেই অবস্থান করছেন। পুলিশ জলকামান ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে।

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টার দিকে আন্দোলনরতরা ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। এরপর প্রায় সহস্রাধিক আন্দোলনকারী শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে হাইকোর্টে মাজার রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। খবর প্রথম আলো।

পরে তারা সচিবালয়ের দিকের রাস্তায় রওনা দেন। এ সময় পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। বিকেল চারটার কিছু আগে পুলিশ আন্দোলনকারীদের দিকে জলকামান ছোড়ে। তবে আন্দোলনকারীরা সেখানেই অবস্থান করছেন।

এর আগে সকালে সহস্রাধিক আন্দোলনকারী জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে মহাসমাবেশ করেন। মহাসমাবেশ ও পদযাত্রায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের চাকরি ফেরত প্রত্যাশীরা অংশ নিয়েছেন।

আন্দোলনরতরা জানিয়েছেন, টানা ১১ দিনের মতো তারা এই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। চাকরিতে যোগদানের বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাদের যৌক্তিক আন্দোলনে তিন দিন পুলিশ বলপ্রয়োগ করেছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবারও তাঁদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করার পাশাপাশি পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তাঁদের ওপর জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করেছিল। ওই দিন পুলিশ আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটাও করে।

আন্দোলনকারীরা জানান, তারা দিনে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন, আর রাতে তারা থাকেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। এভাবে তারা ১১ দিন ধরে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছেন।

তিন ধাপে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা শেষে গত বছরের ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন।

নিয়োগবঞ্চিত কয়েকজন রিট করলে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাদের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন।

এর আগে গত বুধবার রাজধানীর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে আন্দোলন করেন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগবঞ্চিত ব্যক্তিরা। পরে গত বৃহস্পতিবার আন্দোলনের অংশ হিসেবে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে শাহবাগ থেকে তাদের সরিয়ে দেয়।

Link copied!