জাবিতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার নিয়োগের দাবি

রাহাত চৌধুরী, জাবি প্রতিনিধি

জুন ২৯, ২০২২, ০৮:১৫ পিএম

জাবিতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার নিয়োগের দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নতুন রেজিস্ট্রার নিয়োগের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার নিয়ম অনুসরণের দাবি জানিয়েছে   বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন- অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত 'রেজিস্ট্রার নিয়োগ' প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বরাবর আবেদনপত্র জমা দেয় তারা।

আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ জুন অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের যৌথ সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের মধ্যে হতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।

এ ব্যাপারে অফিসার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজীম উদ্দিন বলেন, "যৌথসভা করে আমরা তিনটি সংগঠন থেকে মাননীয় উপাচার্যকে জানিয়ে দিয়েছি যে অতীতের ন্যায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের (রেজিস্ট্রার হিসেবে) যার দায়িত্বকাল শেষ হয়ে যায়, পরবর্তীতে যিনি সিনিয়র থাকেন তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এটা অতীত থেকে হয়ে আসছে এবং আমরা চাই এটাই বহাল থাকুক।"

আবেদনপত্রের ব্যাপারে উপাচার্য মো নূরুল আলমকে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি অনুযায়ী কর্মকর্তাদের চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর। যা বর্তমান রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের গত ৩০ অক্টোবর শেষ হয়। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও 'সেশন বেনিফিট' সুবিধায় তিনি ১ নভেম্বর থেকে সাবেক উপাচার্য ফারজানা ইসলামের নির্দেশে অফিসে যোগদান করেন।

এই ৩০ জুন শেষ হচ্ছে সেই বিশেষ সুবিধাও। অর্থাৎ আগামীকালই (২৯ জুন) হচ্ছে রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের শেষ কর্মদিবস।

এদিকে, গত রবিবার (২৬ জুন) এক বছর আগে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তড়িঘড়ি করে এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে পছন্দের প্রার্থীকে রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দিতে তোড়জোড় করার অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে।  বর্তমান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নিজেই এ পদের একজন প্রার্থী হয়ে ইন্টারভিউ কল চিঠি ইস্যু করেন এবং ২৪ ঘণ্টারও কম সময় দিয়ে ইন্টারভিউ কল করেন। তখন থেকেই রেজিস্ট্রার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠে। মাত্র ছয়ঘণ্টা আগে ইন্টারভিউ কল পেয়ে বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাক্ষাৎকারে উপস্থিত থাকতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাই নিয়োগ বোর্ড বসার নির্ধারিত সময়ের আধাঘণ্টা আগে তা স্থগিত করা হয়।

মূলত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পছন্দের প্রার্থীকে রেজিস্ট্রার নিয়োগ না দিয়ে অতীতের মত জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেয়ার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আবেদন জানান।

Link copied!