ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০৬:৩৩ পিএম
বিএসএস স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৩৬ শিক্ষার্থী ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ লাভ করায় এসব শিক্ষার্থীকে শিক্ষার্থীকে 'ডিনস অ্যাওয়ার্ড' দেওয়া হয়।
রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফ্ফর চৌধুরী মিলনায়তনে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস)-এর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন 'ডিনস অ্যাওয়ার্ড' বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সামাজিক চাহিদা পূরণে শিক্ষার্থীদের কাজ করতে হবে। উপাচার্য উদার, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধ ধারণের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড বক্তা বিনায়ক সেন বলেন, ‘আমাদেরকে ইতিহাসটা আমাদের জানতে হবে। ইতিহাস না জেনে সামাজিক বিজ্ঞানে বাস করা বিপজ্জনক। প্রাচীন ইতিহাসের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক ইতিহাসও জানতে হবে। সঠিকভাবে সবকিছু না জানলে আমরা কীভাবে আমাদের ইতিহাসকে চর্চা করতে পারবো! তাই আমাদের ইতিহাস ও আধুনিক ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের দুই ধরনের আধুনিকতার সঙ্গে বসবাস করতে হবে। একটি ‘তাহাদের আধুনিকতা’ (পাশ্চাত্য) আরেকটি ‘আমাদের আধুনিকতা’। এই দুটির মধ্যে সমন্বয় করতে না পারলে আমরা বিপদে পড়বো।
ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, ‘আমরা চার বছরের সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করা ৩৬ জন শিক্ষার্থীর এই অ্যাওয়ার্ড দিচ্ছি। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ পাবেন আমাদের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা, যারা আমাদের শিক্ষার্থীদের তৈরি করেছে। এর পাশাপাশি শিক্ষকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যারা আজকে এই কৃতিত্বপূর্ণ রেজাল্ট করেছেন তাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে তোমরা দেশের কথা ভুলবে না, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভুলবে না। মানুষের জন্য কাজ করবে।’
যারা ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন:
শেখ আতিয়া ইসলাম, মোছা. কানিজা মুহসিনা, পাপড়ি দাস (অর্থনীতি), মো. এরশাদুল হক, তাসফিয়া তাজিন, আরেফিন রহমান আলিফ, ফারিহা তাবাসসুম, মো. জামিলুর রহমান (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), মো. তানভির হাবিব, মানসুরা এমদাদ (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক), কামরুন নাহার কলি, খাদিজা খাতুন (সমাজ বিজ্ঞান), ইশরাক সাব্বির নির্ঝর (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা), মো. রবিউল ইসলাম, আফসানা আলম, মারুফ হাসান রুমি, নিশাত তাবাসসুম, সুক্তি বালা (লোক প্রশাসন), মাহিমা ফেরদৌসি মিথিলা (নৃবিজ্ঞান), সাদিয়া আফরিন, আবদুল্লাহ আল মামুন (পপুলেশন সায়েন্সেস), নাসরিন জেবিন, মাহাবুবা ইসলাম মিম, ইতু আহমেদ (শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন), নওশিন তাবাসসুম, রিফাতুর রহিম, লিয়া তেরেসা কস্তা (উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ), মো. আজিজুর রহমান খান, ফারিহা খান, সুমাইয়া তাসনিম (ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ), সাইয়্যেদ শাহজাদা আল কারীম, উপেন্দ্রনাথ রায় (টেলিভিশন এন্ড ফিল্ম স্টাডিজ), সুমাইয়া ইকবাল, নওশিন শরমিলা রিতু, নুরেন দুরদানা (ক্রিমিনোলজি) এবং মো. মুতিউল ইসলাম (কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস)।