নানা আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
এরপর একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল, কর্মকর্তা সমিতি, কর্মচারী সমিতি, পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি র্যালী পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এবং কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে কেক কাটা হয়।
সকাল ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও আগামীর শিশু’ শীর্ষক শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’ স্লোগানকে সামনে রেখে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন,‘জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ যেন শিক্ষাঙ্গনসহ সারা দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে ছাত্র-শিক্ষক সকলকে সজাগ থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন পূরণ করে যেতে পারেননি, কিন্তু তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের কাছে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের বুকে ধারণ করে আমাদের চলতে হবে, বঙ্গবন্ধু সবসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মচারীদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে সোচ্চার ছিলেন।’
এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা, সাংবাদিক প্রতিনিধি এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হয়। বাদ জুম্মা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিল হয়।
