প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা, হুঁশিয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ৩০, ২০২৩, ১১:৪৪ এএম

প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা, হুঁশিয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর

চলতি বছর শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এমতাবস্থায় প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। রবিবার রাজধানীর বাড্ডা হাই স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “ কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অনিয়মের ঘটনা শোনা যায়নি।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “এবার প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। প্রশ্নপত্র ফাঁস না হওয়ার জন্য আমরা সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে, কেউ গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “করোনা পরবর্তী দুই বছর পর পূর্ণ সিলেবাসে শতভাগ নম্বরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হচ্ছে। করোনায় ক্ষতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশে আমরা ফিরতে সক্ষম হচ্ছি।”

এসময় তিনি জানান,  প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষার ভুল প্রশ্ন বিতরণের ঘটনা ঘটছে। যাদের মাধ্যমে এসব হচ্ছে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। সে কারণে এবার প্রশ্ন বিতরণে ভুল-ভ্রান্তি হওয়ার সুযোগ কম।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভুল তো ভুলই, কেউ ভুল করে করলে সেটি সেই মুহূর্তে ঠেকানো সম্ভব হয় না। যেসব কেন্দ্রে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাবে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।  রবিবার সকাল ১০টায় বাংলা ১ম পত্রের মাধ্যমে ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন।

৯টি সাধারণ বোর্ড থেকে জানা যায়, বিজ্ঞান বিভাগে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৪ জন, মানবিকে ৮ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৫ জন ও ব্যবসায় শিক্ষায় ২ লাখ ৮০ হাজার ৮১৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

 

বিভিন্ন  বোর্ড ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মাউশি সূত্রে জানা গেছে, নয়টি সাধারণ  শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে গতবারের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। দেশের ৩ হাজার ৮১০ কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া, সৌদি আরবের জেদ্দা কেন্দ্রে ৮৯ জন, রিয়াদে ৫১ জন, লিবিয়ার ত্রিপলিতে ৪ জন, কাতারের দোহায় ৭৭ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবীতে ৪১ জন, দুবাইতে ২৭ জন, বাহরাইনে ৬৫ জন, ওমানের সাহামে ২০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।

Link copied!