জুলাই ২৪, ২০২৩, ০১:৪৮ পিএম
রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধরসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। এর ফলে রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
সোমবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত চার্জগঠনের আদেশ দেন। এর আগে, শুনানি শেষে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দেন আদালত।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন-প্রশ্নপত্র ফাঁসের হোতা আহ্ছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল, অফিস সহায়ক (পিয়ন) দেলোয়ার হোসেন, কর্মী রবিউল আউয়াল, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল, পূবালী ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে-আলম মিলন, ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জাবের ওরফে জাহিদ, পারভেজ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোবিন উদ্দিন, সোহেল রানা, পরীক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ, রবিউল ইসলাম রবি, রাইসুল ইসলাম স্বপন ও রাশেদ আহমেদ বাবলু।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এক হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগে এ পরীক্ষার পর চাকরি প্রত্যাশীদের অনেকেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরেরে ১০ নভেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর সুকান্ত বিশ্বাস বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর শামীম আহমেদ অধ্যাপক নিখিলকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশ্টি থেকে বাদ দেওয়া হয় বুয়েট শিক্ষক ড. নিখিল রঞ্জন ধরের নাম। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৩১ জানুয়ারি নিখিল রঞ্জন ধরকে অভিযুক্ত করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন।