নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “প্রতিটি নদী রক্ষা করবো, এটা আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। নদীগুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত করবো।” তিনি বলেন, “নদীর প্রবাহ ও নদীমাতৃক বাংলাদেশকে ধরে রাখতে বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় আছে। এর একমাত্র কারণ নদীর প্রবাহ ধরে রাখতে হবে, নদীমাতৃক বাংলাদেশকে ধরে রাখতে হবে। নদীর প্রবাহ রক্ষা করা, নদীকে ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব।”
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশনে বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলোর প্রবাহ নিশ্চিতের কথা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের নদীগুলোর নাব্যতা কমে গেছে, নদীগুলোর নাব্যতার ধরে রাখতে হবে। নদীর নাব্যতা ধরে রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২০০৮ সাল পর্যন্ত কোন সরকার একটি ড্রেজারও সংগ্রহ করেনি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত তিন মেয়াদে ৩৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছেন। আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান।”
তিনি আরও বলেন, “কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে শপথ নিতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে। কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাদের ডায়নামিক ও স্মার্ট করার লক্ষ্যে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনকে কাজ করতে হবে।”
বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি রকিবুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আরিফ উদ্দিন ও বিআইডব্লিউটিএ’র সিবিএ’র সভাপতি আবুল হোসেন।