সকালের আলো ফোটার আগেই খাবার শেষ হয় যে হোটেলের

তাজফিহা উখরোজ তুবা

অক্টোবর ২০, ২০২৩, ০৩:০৪ এএম

সকালের আলো ফোটার আগেই খাবার শেষ হয় যে হোটেলের

চট্টগ্রামের দস্তগীর হোটেল। ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

ভোর ৫টা। হোটেলের কর্মীরা পরোটা-পায়া-নেহারি-নান পরিবেশনে ব্যস্ত। আর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন গ্রাহকরা। উদ্দেশ্য সুস্বাদু পায়া-নেহারির স্বাদ নেওয়া। ভোরের আলো ফোটার আগেই শেষ হয়ে যায় এই হোটেলের খাবার। সাধারণত পরিবেশন শুরুর ৩০ মিনিট পর আর খাবার পান না গ্রাহকরা।

চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা এলাকার মমিন রোডে অবস্থিত দস্তগীর হোটেলে গেলে এমন চিত্রই চোখে পড়বে।

হোটেলটি ১৯৬০ সালে জমিদার আলাউদ্দিন আলী নূরের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে। সময়ের পরিবর্তনে খাবারে অনেক নতুনত্ব এলেও নেহারি তৈরির পদ্ধতি একই রয়ে গেছে।

হোটেলটির বর্তমান পরিচালক নুরুল আলম বলেন, এখানে এক সময় বিহারীদের বসবাস ছিল। তখনকার হোটেলের শেফরা তাদের কাছ থেকে নেহারি ও পায়া বানানো শিখেছিলেন। আর সেই রেসিপি অবলম্বন করেই তৈরি হচ্ছে পায়া-নেহারি।

পরিচালকের মতে, এই পায়া-নেহারি চট্টগ্রামের আর কোথাও পাওয়া যায় না। চট্টগ্রামের মানুষ এই পায়া-নেহারিকে সকালের নাস্তায় খেতে পছন্দ করে। তাই সকালে আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিকেলেও এই হোটেলে ভিড় থাকে।

দস্তগীর হোটেলে নাস্তা করতে আসা এক যুবক বলেন, এই খাবারের স্বাদ জিভে লেগে আছে, সেই স্বাদের কারণেই আবার খেতে এসেছি।

দস্তগীর হোটেলে সপ্তাহে দুইদিন রবিবার ও বৃহস্পতিবার বিকেলে মেজবানি ভোজ হয়। ৩০০ টাকা মূল্যের একটি মেজবানি প্যাকেজ রয়েছে। এছাড়া পায়া ১৮০ টাকা এবং নেহারি ২০০ টাকায় মেলে। হোটেলটিতে গ্রিল, চিকেন স্যুপ ইত্যাদির মতো সুস্বাদু খাবারও পরিবেশন করা হয়।

Link copied!