ডেঙ্গু: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ,সতর্কবার্তায় যা জানাল সংস্থাটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুলাই ২২, ২০২৩, ১২:০২ পিএম

ডেঙ্গু: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ,সতর্কবার্তায় যা জানাল সংস্থাটি

সংগৃহীত ফাইল ছবি

কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ। সারাবিশ্বে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। চলতি বছর বিশ্বজুড়ে এই রোগটি রেকর্ড করতে যাচ্ছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তায় বলা হয়, এই মুহূর্তে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বৃষ্টিবহুল ও উষ্ণ অঞ্চলে অকল্পনীয় দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে রোগটি।

বর্তমানে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা না গেলে চলতি বছরই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হবেন। সামনের দিনে ডেঙ্গু মহামারির ঘোষণাও আসতে পারে বলে সতর্কবার্তায় বলা হয়।

স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কন্ট্রোল অব নেগলেক্টেড ট্রপিক্যাল ডিজিজ বিভাগের বিশেষজ্ঞ ড. রমন ভেলাইউধান বলেন, “২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গত ২২ বছরে বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর হার বেড়েছে আটগুণ। চলতি বছর ২০২৩ সালে তা আরও বাড়বে।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে বিশ্বের ১২৯টি দেশে ৫২ লাখ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। তাদের মদ্যে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের রয়েছে ৩০ লাখ। আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে এবং পেরুতে ডেঙ্গু আক্রান্তদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

ড. রমন ভেলাইউধান আরও বলেন, সংক্রমণের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে আক্রান্তদের সংখ্যায় অল্প কিছুদিনের মধ্যে আরও ৪০ লাখ মানুষ যুক্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এশিয়ার দেশগুলো হয়ত ডেঙ্গু রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, তবে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর জন্য এটি বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,  অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগীই আক্রান্ত হওয়ার পর জ্বর, মাংসপেশিতে ব্যথা প্রভৃতি উপসর্গে ভুগছেন। অনেকের আবার দেহে কোনো উপসর্গ নেই, কিন্তু প্লাটিলেট আশঙ্কাজনক পর্যায়ে নেমে গেছে। এই আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত ১ শতাংশ মারা গেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডেঙ্গুর বিস্তারের জন্য প্রয়োজন উষ্ণ আবহাওয়া। এডিস মশা এই রোগের প্রধান বাহন হিসেবে কাজ করে, এডিসের বংশবৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে উপযোগী নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া।

ব্লিউএইচও’র সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ঘুমানোর সময়ে মশারির ব্যবহার, বাসাবাড়ি ও অফিস আদালতে পানি জমতে না দেওয়া— এগুলো খানিকটা সুরক্ষা দিতে পারলেও এডিস মশা ও সেটির প্রজনন ক্ষেত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস করাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায়।

Link copied!