ডিসেম্বর ২, ২০২১, ০৭:৩৯ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন ঠেকাতে বিমানবন্দরে যাত্রীর সংখ্যা বেশি হলে প্রয়োজনে ল্যাবরেটরির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাইগামী যাত্রীদের টেস্টিং ফ্যাসিলিটিস পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সব কিছু ভালো করার চেষ্টা করছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “চিকিৎসাব্যবস্থা ভালো হয়েছে। মৃত্যুর হার এক-দুইয়ে আছে। ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম খুবই গতি লাভ করেছে। টার্গেটেড পপুলেশনের ৫০ শতাংশ লোক ভ্যাকসিনেটেড হয়ে গেছে। মৃত্যু ও সংক্রমণের সংখ্যা কমে গেছে। ফলে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ভালো আছে।” বাংলাদেশ ভালো ইমেজ বিদেশে তৈরি হয়েছে; বাংলাদেশের ওপর কোনো জায়গায় নিষেধাজ্ঞা নেই বলেও তিনি জানান।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, “ওমিক্রন নিয়ে সবাই একটু চিন্তিত। আমরাও সতর্ক কিন্তু আমরা প্যানিক করব না। আমরা জানতে পেরেছি, এটা খুব দ্রুত ছড়িয়ে যায়। সংক্রমণ হলেও এর লক্ষণ মৃদু। লক্ষণগুলো ডেলটার মতো ভয়ানক নয়।”
তিনি বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যখন আমরা সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পেয়ে যাব, আপনাদের জানিয়ে দেব। সে পর্যন্ত আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক পরতে হবে।”
সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহবান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেকে ভ্যাকসিন নিতে আসে না। আমরা আহ্বান জানানো ভ্যাকসিন আপনারা নেবেন। আমাদের কাছে এখনো ৪ কোটি ভ্যাকসিন আছে। ভ্যাকসিনের কোনো অভাব নেই।”
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আগতদের খুঁজে বের করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন,“দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ২৪০ জনকে খুঁজে বের করতে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। এটা এক মাস আগের কথা, তারপরও আমরা ছাড়ছি না। সবাইকে খুঁজে বের করবো।”
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যারা এসেছেন তাদের ব্যপারে সরকার কঠোর হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেকে ইরেসপন্সিবল। নিজের কথা ভাবে না, দেশের কথা ভাবে না। তারা হোটেল থেকে বের হয়ে গেছে। ঘুরা-ফেরা করেছে, বাড়িতে চলে গেছে সেটা আমরা জেনেছি। আমরা একটা কঠোর অবস্থানে যাব। পাসপোর্ট আটকে রাখব প্রয়োজন হলে।”
তিনি আরও বলেন, “সামরিক বাহিনীর তদারকিতে রাখব, আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ টপ সুপারভিশনে রাখবে। যে হোটেল থেকে বের হয়ে যাবে, সেই হোটেলকেও আমরা পেনালটিতে নিয়ে আসব।”