শিশু আয়ানের মৃত্যু : মুখ লুকিয়ে দৌড়ে পালালেন চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম

শিশু আয়ানের মৃত্যু : মুখ লুকিয়ে দৌড়ে পালালেন চিকিৎসক

দুই চিকিৎসকের সনদ বাতিলের জন্য বিএমডিসিতে আবেদন করেন আয়ানের বাবা। ছবি : দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত দুই চিকিৎসকের আলাদা আলাদাভাবে বক্তব্য শুনেন বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের শৃঙ্খলা কমিটি। তবে বক্তব্য শেষে এই দুই চিকিৎসক মুখ লুকিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল ভবনে এ অভিযোগের শুনানি হয়। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত ইউনাইটেড হাসপাতালের অ্যানেস্থেশিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. সাঈদ সাব্বির আহমেদ ও সার্জারি চিকিৎসক তাসনুভা মাহজাবিন। সেই সাথে বক্তব্য শোনা হয় শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদের।

এর আগে দুই চিকিৎসকের সনদ বাতিলের জন্য বিএমডিসিতে আবেদন করেন আয়ানের বাবা। তবে শুনানি শেষে দুই চিকিৎসকই গণমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে মুখ লুকিয়ে দ্রুত বের হয়ে যান। শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক এবং অভিযোগকারী আয়ানের বাবার বক্তব্য নিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিল বিএমডিসি।

শুনানি শেষে নিহত আয়ানের বাবা অভিযোগ করে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া ধীরগতিতে চলছে। এদিকে বিএমডিসির শৃঙ্খলা কমিটির দাবি তদন্ত সুষ্ঠু করতে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল থেকে আরও কাগজপত্র প্রয়োজন। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতামতও নেয়া জরুরি।

 তদন্তে কতদিন সময় লাগতে পারে এন প্রশ্নে কমিটির প্রধান বিএমএ সভাপতি ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, তদন্তে কতদিন সময় লাগবে তা বলা সম্ভব নয়। এ ছাড়াও অভিযোগ করলেই কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রাজধানীর একটি বেসরকারি স্কুলের নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল আয়ান। গত ৩১ ডিসেম্বর তাকে ফুল অ্যানেস্থেশিয়া (জেনারেল) দিয়ে খতনা করায় সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়াই তার খতনা করানো হয়ে বলে অভিযোগ করেন তার বাবা শামিম আহমেদ।

অপারেশনের কয়েক ঘণ্টা পরও জ্ঞান না ফেরায় সেখান থেকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয় আয়ানকে। সেখানে সাত দিন পিআইসিইউতে (পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) লাইফ সাপোর্টে রাখার পর ৭ জানুয়ারি মাঝরাতে আয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

Link copied!