ডেঙ্গুর টিকা প্রয়োগে নাইট্যাগের পরামর্শ চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ৫, ২০২৩, ০২:২৮ এএম

ডেঙ্গুর টিকা প্রয়োগে নাইট্যাগের পরামর্শ চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

বুধবার বিকেলে এডিস সার্ভের ফলাফল নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভার্চুয়াল ব্রিফিং।

দেশে ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের প্রয়োগ নিয়ে জাতীয় টিকা সংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির (নাইট্যাগ) পরামর্শ চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কমিটির সুপারিশ পেলেই ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।

বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে এডিস সার্ভের ফলাফল নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গত সোমবারের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংস্থার স্ট্র্যাটেজিক গ্রুপ অব এক্সপার্ট অন ইমিউনাইজেশন (সেজ) জাপানের তাকেদার তৈরি কিউডেঙ্গা টিকা ব্যাপক হারে ডেঙ্গু সংক্রমিত এলাকায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের জন্য এ টিকা উপযোগী। আর এ টিকা ডেঙ্গুর চার ধরনের বিরুদ্ধেই কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।  

এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিউডেঙ্গা টিকা প্রয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে। তবে একটি বয়সসীমার শর্তও দিয়েছে তারা। এই কিউডেঙ্গা টিকা নতুন কিছু নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অ্যাডভাইজ হলো এই ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়পত্র দিয়েছে বলেই যে এটা আইডিয়াল ভ্যাকসিন, তা কিন্তু বলা যাবে না।’

আহমেদুল কবির বলেন, ‘ভ্যাকসিনের বিষয়ে আমরা জাতীয় টিকাসংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটিকে (নাইট্যাগ) বলেছি। আমরা ডেঙ্গুর ভ্যাকসিনের বিষয়ে পরামর্শ বা সুপারিশ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারব না। নাইট্যাগ বলেছে, তারা দ্রুত একটা মিটিং করে সিদ্ধান্ত জানাবে। তারা যদি পরামর্শ দেয়, তাহলে আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব।’

ডেঙ্গু সংক্রমণ কবে কমবে— এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, টেম্পারেচার ডাউন না হলে হয়তো ডেঙ্গু সংক্রমণটা কমবে না। ডেঙ্গুটা এখন টেম্পারেচারের ওপর নির্ভরশীল। বৃষ্টি না থামলে কমার সম্ভাবনা দেখছি না। ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল না হলেও এডিস মশার বংশ বৃদ্ধিটা ঠিকই প্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে।

ডেঙ্গুতে নারীদের বেশি মৃত্যুর কারণ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু কারণে নারীদের মৃত্যুর হার বেশি পাচ্ছি। প্রথমত আমাদের ফিমেলরা যেকোনো কারণেই হাসপাতালে দেরি করে এসেছে। আরেকটি বিষয় হলো এবছর প্রেগন্যান্ট মায়ের অনেক বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তের ইতিহাস পাওয়া গেছে, আপনারা জানেন প্রেগন্যান্ট মায়েরা ডেঙ্গুতে একটু বেশি ভার্নারেবল, যেকারণে এবার অনেক বেশি তাদের মৃত্যু হয়েছে।

Link copied!