জুলাই ২৬, ২০২১, ০৩:১৯ পিএম
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর লকডাউনের কারণে অর্থনীতির ক্ষতি হলেও সরকার জীবনকে প্রাধান্য দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।শিগগিরই বিভিন্নভাবে ২১ কোটি করোনার টিকা দেশে আসছে বলেও তিনি জানান।
সোমবার (২৬ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে কোভিড-১৯ মহামারিকালের সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে এখন। সংক্রমণ এখনও ঊর্ধ্বমুখী। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
তিনি বলেন, সংক্রমণের ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে মানুষের চলাচল সীমিত করে সর্বাত্মক লকডাউন আরোপ করেছে সরকার। লকডাউনে সবধরনের অফিস-আদালত থেকে শুরু করে শিল্প-কলকারখানাও বন্ধ রয়েছে। এতে অর্থনীতির ক্ষতি হলেও জীবনকে প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার। জীবন আগে, অর্থনীতি পরে।’
শিগগিরই বিভিন্নভাবে ২১ কোটি করোনার টিকা দেশে আসছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা সংকটে এক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া টিকাদান কর্মসূচি পূণরায় চালু হওয়ার পর ১৬ কোটি মানুষের জন্য এটি সুসংবাদ।
এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ২১ কোটি টিকার ব্যবস্থা হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এর মধ্যে রাশিয়ার ১ কোটি ডোজ স্পুটনিক ভি, চীনের সিনোফার্মের ৩ কোটি ডোজ, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি, কোভ্যাক্সের আওতায় ৭ কোটি ও জনসন অ্যান্ড জনসনের ৭ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আগামী মঙ্গলবারের (২৭ জুলাই) মধ্যে আরও ৩০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দেশে আসবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা সংরক্ষণে ২৬টি কোল্ড ফ্রিজার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে আনা হয়েছে। এগুলোয় মাইনাস ৭০ ডিগ্রিতে রাখার মতো টিকাও সংরক্ষণ করা যাবে। বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন করে আরও যে টিকা আসবে, সেগুলো সংরক্ষণ করতে কোনও সমস্যা হবে না।
টিকা কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম জোরদার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।এ কার্যক্রম যাতে ওয়ার্ড থেকেই শুরু হয়ে যায়। ওয়ার্ডে যেসব বয়স্ক লোক আছে, তাদেরকে ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করা। তাদের মধ্যে ভ্যাকসিন না নেওয়ার অনীহা আছে। হাসপাতালে দেখা গেছে গ্রামের বয়স্ক লোকরাই আছেন ৭৫ শতাংশ, ঢাকা শহরেও। তাদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি এবং আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ।
ফ্রন্টলাইনের প্রায় সবাই ভ্যাকসিন পেয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, বাকি যারা আছে তাদের এবং তাদের পরিবারকে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ কাজটি আমরা অতিদ্রুত শুরু করে দেব। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে জোরদার বেশি করব। করোনা পরীক্ষার বিষয়েও জোর দেওয়া হয়েছে।‘
দেশের প্রতিটি বয়স্ক ব্যক্তিকেই টিকার আওতায় আনা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না। সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। ইউনিয়ন পরিষদ, গ্রাম, এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়ে পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।