দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ইউরোপ-আফ্রিকাসহ যেসব দেশে ছড়িয়েছে সেসব দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের আপাতত দেশে না ফেরার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল ইসলাম এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “প্রবাসী ভাই-বোনেরা যারা এই সময় দেশে আসতে চান, বিশেষ করে যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় আছেন বা ইউরোপের যেসব দেশগুলোতে ওমিক্রণের ভ্যারিয়েন্টটি অধিক সংখ্যায় শনাক্ত হচ্ছে- তাদের প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ থাকবে আপনারা ভ্রমণ পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখুন।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র আরও বলেন,“পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভ্রমণ পরিকল্পনা একেবারে বন্ধ রাখুন। এই কাজটি করলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আমাদের সারা বাংলাদেশে করোনা রোধে যে সর্বোচ্চ চেষ্টাটি আছে সেটা বেগবান হবে।”
‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন সেটা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত নতুন তথ্য-উপাত্ত পাচ্ছি জানিয়ে ডা. নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, “ এদিকে আমাদের গভীর মনোযোগ আছে এবং সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। আমরা মনে করি, এই মুহূর্তে ভ্রমণ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।”
তিনি বলেন, “এই সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করার জন্য আমরা পরিস্থিতির সঙ্গে মিল রেখে আমাদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হচ্ছে। বন্দরগুলোতে আমরা সতর্কতা দিয়েছি। কোয়ারেন্টিনের বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়েছিল সেটি আর শিথিল নেই। কোয়ারেন্টিনের বিধি-নিষেধ আমরা কঠোরভাবে প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়েছি।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যারা এসেছেন স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, তাদের চিহ্নিত করছি। যাদের পরীক্ষার দরকার তাদের পরীক্ষা করছি।” সামগ্রিকভাবে এই মুহূর্ত পর্যন্ত সমস্ত পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলেও তিনি জানান।
