জানুয়ারি ৬, ২০২২, ০৭:২৯ পিএম
প্রথমবারের মতো উরুসন্ধি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক নারীর ঊরুসন্ধি প্রতিস্থাপন (হিপ জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট) করা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি, এই হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এ ধরনের অস্ত্রোপচার হলো।
হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ মো. ইসমাইলের নেতৃত্বে এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। সফল এই অস্ত্রোপচারের পর সদর হাসপাতালে এখন থেকে মানুষ বিনা মূল্যে ঊরুসন্ধি প্রতিস্থাপনের সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মমিনুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জেই নয়, দেশের জেলা সদর হাসপাতালগুলোতেও এর আগে কোথাও এ ধরনের অস্ত্রোপচার হয়নি বলেই তাঁরা জানেন। এ কারণেই জেলা হাসপাতালের জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) একটি ঐতিহাসিক দিন।”
মমিনুল হক বলেন, “ঊরুসন্ধি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচারটি জটিল ও কঠিন। দক্ষ সার্জনের অভাবের কারণে জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে এ ধরনের অস্ত্রোপচার করা হয় না। সাধারণত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা ও দেশের বাইরে উন্নত হাসপাতালগুলোতে এ ধরনের অস্ত্রোপচার হয়ে থাকে। এটা ব্যয়বহুলও।”
অস্ত্রোপচার হওয়া নারীর নাম আশা রানী (৪৫)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের হুজরাপুর মহল্লার বাসিন্দা। প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি হাঁটতে পারছিলেন না।
আশা রানীর মেয়ে সুমি রানী (২৫) বলেন, “ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি, মা ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। আমরা গরিব মানুষ বলে অনেক টাকা খরচ করে অপারেশন (অস্ত্রোপচার) করাতে পারছিলাম না। ইসমাইল ডাক্তার সমস্যার কথা শুনে অপারেশন করে দিলেন।”
অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দেওয়া চিকিৎসক মো. ইসমাইল বলেন, অবেদনবিদ শওকত মোল্লা, চিকিৎসক মশিউর রহমান, নার্স মৌসুমি ইমাম, ফেরদৌসী খাতুন ও নাসিমা খাতুনের সহযোগিতা নিয়ে অস্ত্রোপচারটি করা হয়েছে। ঊরুসন্ধির বলটি ক্ষয়ে গেলে পা ভাজ হয় না, মানুষ হাঁটতেও পারে না। এখন থেকে এ হাসপাতালে এ ধরনের অস্ত্রোপচারের সুযোগ মানুষ বিনা মূল্যে পাবেন। রোগীকে হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিকসহ অন্যান্য ওষুধও দেওয়া হচ্ছে।