বেটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৪, ২০২২, ০৬:০৩ পিএম
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে শনিবার দেশজুড়ে টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিশেষ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রম শেষ হবে ১০ জুন। এসময়ের মধ্যে এক কোটি বুস্টার ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ৩১ মে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আগামী ৪ থেকে ১০ জুন দেশব্যাপী করোনা টিকার বুস্টার ডোজ সপ্তাহ পালন করা হবে। এই সাত দিনের যে কোনো দিন নিকটবর্তী টিকাকেন্দ্রে গিয়ে তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে।
কারা কোথায় বুস্টার ডোজ পাবেন?
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব সব নাগরিক তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার চার মাস পর তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেয়া যাবে। এক্ষেত্রে সঙ্গে টিকা কার্ড বাধ্যতামূলক।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর চার মাস পার হয়েছে এমন প্রাপ্তবয়স্করা এই বিশেষ কর্মসূচিতে টিকার তৃতীয় ডোজ নিতে পারবেন। সপ্তাহ জুড়ে সব টিকা কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে। আগ্রহীরা টিকা কার্ড নিয়ে ওই সপ্তাহের যে কোনো দিন কেন্দ্রে গিয়ে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। পাশাপাশি করোনার স্বাভাবিক টিকাদান কার্যক্রমও চলবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
প্রসঙ্গত, দেশে ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি করোনা ভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া শুরু হয়। দুই মাস পর ৮ এপ্রিল শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কার্যক্রম। আর গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, ২৪ মে পর্যন্ত দেশে ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৩১ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ কোটি ৭৩ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ পেয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ। আর তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত করোনার প্রায় ৩০ কোটি টিকা সংগ্রহ করেছে। এর বড় অংশ সরাসরি কেনা, একটি অংশ বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে কেনা, কিছু টিকা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে অনুদান পাওয়া আবার কিছু টিকা উপহার পাওয়া।
