ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২, ০৩:২৬ পিএম
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রতিরোধী টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়ার পর মানুষের শরীরে পাঁচ গুণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয় বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক গবেষণা।
বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ উপাচার্য ও গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। বুস্টার ডোজ গ্রহণকারী ২২৩ জনের ওপর চালানো এক গবেষণা থেকে এতথ্য পাওয়া গেছে বলেও তিনি জানান।
শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, প্রথম ধাপে টিকা নেওয়ার পর ৯৮ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যারা টিকা নেওয়ার আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের শরীরে তুলনামূলক বেশি অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।
প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবডির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “ বুস্টার ডোজ দেওয়ার পর ওইসব মানুষের শরীরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এসব মানুষদের রক্তের প্যারামিটারগুলোতেও কোনো পরিবর্তন হয়নি।”
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্য সেবাদানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন উল্লেখ করে বিএসএমএমইউ উপাচার্য আরও বলেন, “অর্ধেকের বেশি অংশগ্রহণকারী আগে থেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানিসহ অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন। তবে এ ধরনের রোগের কারণে অ্যান্টিবডি তৈরিতে কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি।”
তিনি বলেন, “ ৪২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী টিকা নেওয়ার পর তাদের শরীরে মৃদু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু রক্ত জমাট বাধা বা অন্য কোনো জটিল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গবেষণাকালীন সময়ে কারো শরীরে পরিলক্ষিত হয়নি।”
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণায় দুই ডোজ টিকা নেওয়ার ১ মাস পর, ৬ মাস পর এবং বুস্টার ডোজ নেওয়ার ১ মাস পর শরীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি অ্যান্টিবডির মাত্রা পরিমাপ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় ২২৩ জন অংশগ্রহণকারীর ক্ষেত্রে দুই ডোজ টিকা নেওয়ার ১ মাস পর এবং তার মধ্যে ৩০ জনের দুই ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পর ও বুস্টার ডোজ নেওয়ার ১ মাস পর অ্যান্টিবডির মাত্রা পরিমাপ করা হয়।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সাড়ে ১০ কোটির বেশি মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন সাড়ে ৭ কোটির বেশি মানুষ এবং ৩০ লাখের বেশি মানুষ টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।