মার্চ ২৯, ২০২২, ০৮:৪৯ পিএম
অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসাসেবা উপজেলা পর্যায়ে নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দাহ্য পদার্থ ব্যবহারের বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার চালাতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবানও জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ‘সিক্সথ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন প্লাস্টিক সার্জারি-২০২২’ এবং ‘মুজিব কর্নার’ ও ‘বঙ্গবন্ধু গ্যালারি’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জন অব বাংলাদেশ (এসপিএসবি) অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
সব উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওই কমপ্লেক্সগুলোতে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামে সজ্জিত করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন আছে।”
তিনি বলেন, ‘মানুষের দোরগোড়ায় এই বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার প্রতিটি বিভাগে পৃথক ও স্বনির্ভর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।’
ফরিদপুর জেলায় একটি ১০০ শয্যার প্লাস্টিক সার্জারি ও বার্ন ইউনিট স্থাপনের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, “প্রতিটি বড় জেলায় এ ধরনের ইউনিট প্রয়োজন।”
দেশে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা ছিল না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা অরও বলেন, “সেজন্য আমরা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নির্মাণ করে মানুষের জন্য আধুনিক চিকিৎসাসেবা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একটি শক্ত ভিত গড়ে তুলতে সরকার দেশে প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে এবং পরে চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহীতে আরও তিনটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশে অনেকগুলো মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করে।”
কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, “জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে, যাতে মানুষ প্রাথমিক অবস্থায় ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ পেতে পারে।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বক্তব্য রাখেন।