করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় গণটিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
বুধবার(২৫ আগস্ট) রাজধানীর কেন্দ্রীয় ঔষধাগার মিলনায়তনে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপহার হিসেবে পাওয়া ভেন্টিলেটর বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘সারাদেশে গণটিকা চলাকালে যে যেই কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, সেখানেই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে।’ শিগগিরই দেশে ৬০ লাখ ফাইজারের টিকা আসছে বলেও তিনি জানান।
কিছু র্যাপিড আরটি পিসিআর মেশিন কেনার চেষ্টা চলছে জানিয়ে অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, নতুন করে আরও ৩০টি আরটি পিসিআর মেশিন কেনা হচ্ছে।উপজেলাতে জিন এক্সপার্ট মেশিন সেনসেটিভিটি ১০০ শতাংশ।
স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক আরও বলেন,‘এই মেশিনগুলাকে চালু করার জন্য একটা স্পেশাল ইকুইপমেন্ট লাগে, যেটা আমরা ইতোমধ্যেই সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করছি। সেটা যদি হয় তাহলে পরে এক্টিভেশন কোন জায়গা দিয়েছে, সেগুলো কাজ করতে পারবে আশা করি।’
প্রত্যেকটা মেশিন নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘যেকোনো মেশিন, এয়ার কন্ডিশনও হতে পারে। এই জিনিসগুলো আমাদের মাথায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা যথাযথ ব্যবহারের চেষ্টা করছি।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কেনাকাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবচেয়ে বড় একটি প্রক্রিয়া হলো কেনাকাটা।সারাদেশের হাসপাতালগুলো যেই চাহিদা দেয়, সে অনুযায়ী সেগুলো হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে সিএমএসডি।এই প্যানডেমিকের সময় আমাদের সহায়তা করেছেন, সেজন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বসবাসরত ৫ প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসকের দুই চালানে পাঠানো ৫৬২টি পোর্টেবল আইসিইউ ভেন্টিলেটর আসে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বিমানবন্দরে ভেন্টিলেটরগুলো গ্রহণ করেন।এসব ভেন্টিলেটরের মধ্যে ৩০০টি এখন বিতরণের ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।