ইকুয়েডরে শক্তিশালী ভূমিকম্প; কেঁপে উঠলো পেরুও; ১৬ জনের মৃত্যু

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৯, ২০২৩, ০১:০৭ পিএম

ইকুয়েডরে শক্তিশালী ভূমিকম্প; কেঁপে উঠলো পেরুও; ১৬ জনের মৃত্যু

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো উত্তর আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর ও পেরুর উত্তরাঞ্চল। এতে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে বহু মানুষ। দুর্যোগকবলিত এলাকায় উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে ইকুয়েডর সরকার। 

স্থানীয় সময় শনিবার (১৮ মার্চ) ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ইকুয়েডরের উপকূলীয় অঞ্চল গুয়াসে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। এর উৎপত্তিস্থল ছিল গুয়াকিল শহর থেকে ৫০ মাইল দক্ষিণে। 

 

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো বলেছেন, ভূমিকম্পটি জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। এক টুইট বার্তায় জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে আজই ওই এলাকা পরিদর্শনে যাবেন বলে জানান তিনি।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নিহতদের মধ্যে ১২ জন উপকূলীয় রাজ্য এল ওরোতের বাসিন্দা এবং দুজন অজুয়ে রাজ্যের বাসিন্দা। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে আরও অন্তত ১২৬ জন আহত হয়েছেন। 

এদিকে পেরুর প্রধানমন্ত্রী আলবার্তো ওতারোলা জানিয়েছেন, ইকুয়েডর সীমান্তের কাছে পেরুর তুম্বস অঞ্চলে ভূমিকম্পের আঘাতে একটি বাড়ি ধসে চার বছরের একটি মেয়ে মারা গেছে। 

ইকুয়েডরের ইমার্জেন্সি রেসপন্স এজেন্সি জানায়, উপকূলীয় প্রদেশ এল ওরোতে বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে। ঘরবাড়ি ধ্বংসের কারণে বেশির ভাগ রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পে কয়েক ডজন বাড়িঘর, স্কুল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। অন্তত ৪৪টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে, আরও ৯০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫০টির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন এবং ৩০টির বেশি স্বাস্থ্য কেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইমার্জেন্সি রেসপন্স এজেন্সি জানিয়েছে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের তার বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। 

প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল ও ইকুয়েডরের উত্তরাঞ্চলের সাথে সীমান্ত রয়েছে পেরুর। সেখানেও এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। পেরুর তুম্বসের উত্তরাঞ্চলে একটি সেনা ব্যারাকের পুরোনো দেয়াল ধসে পড়ে এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেখানে আর কোনো হতাহতের খবর জানায়নি পেরু কর্তৃপক্ষ। 

ইকুয়েডর ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে পরিচিত। এর আগে ২০১৬ সালে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

Link copied!