একটু জটিল ফ্রান্সের নির্বাচনী ব্যবস্থা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সাথে সাথেই সেখানে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচন করা হয়না। আগে ঠিক করা হয় প্রেসিডেন্ট, পরে পার্লামেন্ট সদস্য। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থাটি কিছুটা গণভোটের মতো।
ফ্রান্সে রয়েছে দুই কক্ষ বিশিষ্ট শাসন ব্যবস্থা। একটি জাতীয় পরিষদ যা নিম্নকক্ষ হিসেবে পরিচিত। এর সদস্য সংখ্যা ৫৫৭। ফ্রান্সের ভোটদানে সক্ষম ৪ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ভোটারের সরাসরি ভোটে জাতীয় পরিষদের সদস্যরা নির্বাচিত হন। তাই অনেকক্ষেত্রেই ফ্রান্সের সরকারের ক্ষমতায় কে থাকবেন বা না থাকবেন তা নির্ভর করে এই জাতীয় পরিষদের উপরই। রোববার ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর আগামী জুনে আবারো ভোটাভুটি হবে দেশটিতে। তখন নির্বাচনটি হবে ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের ৫৫৭ আসনের নিম্নকক্ষের সদস্য নির্বাচন করতে। আর দ্বিতীয় কক্ষটি উচ্চপরিষদ বা সিনেট যার সদস্য ৩৪৮। এই ৩৪৮ জনের মধ্যে ৩২৮ জন নির্বাচিত হন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে।
রোববারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দুই প্রার্থী ইমানুয়েল ম্যাকরণ ও মেরিন লি প্যান।
প্রচারণায় গিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর তীক্ত বাক্যবিনিময় করতে দেখা গেছে দুই প্রার্থীকেই। জীবনযাপনের মাত্রাতিরিক্ত খরচ বৃদ্ধিকে মূলত বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছেন লি প্যান। বিধিনিষেধ দেওয়ার কথা বলেছেন মেয়েদের স্কার্ফ পরার ওপরও। ম্যাকরণ অবশ্য লি প্যানের কট্টরপন্থী নীতির বিরোধিতা করে বলেছেন, ফ্রান্সের মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতাকে গুরুত্ব দেবে।
১০ এপ্রিল প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট ম্যাকরণের বিরুদ্ধে ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়ে। ২৩ শতাংশ ভোট পাওয়া লি প্যান বিরোধী ভোটারের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তবুও নির্বাচনী ব্যবস্থার কারণে অধিকাংশ ভোটারকে দ্বিতীয় ধাপে এই দুইজনের একজনকেই ভোট দিতে হচ্ছে। যে কারণে অনেক ভোটারই কাউকেই ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ব্যবস্থা অনুযায়ী কোন দল প্রথম দফায় ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে দ্বিতীয় দফা ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয়।