করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের জেরে অস্ট্রেলিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সোমবার(১০ জানুযারি) পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটিতে মোট শনাক্তের অর্ধেকই শনাক্ত হয়েছে গত সপ্তাহে। ওমিক্রন দেশটিতে সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
মহামারি শুরুর পর থেকেই আক্রমণাত্মক লকডাউন ও কঠোরভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সফলভাবে দেশটি করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হলেও ভাইরাসের সঙ্গে বাঁচার নীতির পর সংক্রমণ বেড়েছে।
সোমবার নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়া রাজ্যে নতুন ৫৫ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তক হয়েছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি, সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে মোট ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৬ জন করোনায় আ্রক্রান্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে মারা গেছেন ২ হাজার ৩৮৭ জন। সোমবার গত ২৪ ঘন্টায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।তবে আগের তুলনায় ওমিক্রনের ঢেউ চলাকালে মৃতের সংখ্যা অনেক কম। দেশটিতে ১৬ বছরের উপরে ৯২ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন।
এদিকে,হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ায় দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে আইসোলেশন নীতির কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমেও নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ করা গেছে।
সোমবার(১০ জানুয়ারি) থেকে দেশটিতে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী ২৩ লাখ শিশুকে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। টিকাদান টাস্কফোর্সের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জন ফ্রুয়েন পর্যাপ্ত টিকা ও বিতরণ কেন্দ্র রয়েছে বলে জানিয়েছেন।করোনার টিকার ব্যাপারে তিনি সবাইকে ধৈর্য্য ধরার কথা বলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার গত ২৫ নভেম্বর প্রথমবারের মতো করোনার নতুন ধরন ওমিক্রণ শনাক্ত হয়। এরপর আফ্রিকান দেশগুলোর ওপর একের পর এক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অসংখ্য দেশ। এরই মধ্যে ওমিক্রনের জেরে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ মারাত্মক হারে বেড়েছে। করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরন বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।