মিয়ানমারে তাণ্ডব চালিয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তুয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি। এদিকে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাাঁড়িয়েছে ২০২ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শত শত মানুষ যে কারণে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ে বেশির ভাগ ঘরবাড়ির ছাদ উড়ে যায় এবং এটি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়। মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি, এটি ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ফেলেছে, কাঠের বাড়ি এবং মাছ ধরার নৌকা ভেঙে দিয়েছে এবং হাজার হাজার গাছপালা ধ্বংস করেছে।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ক্ষতবিক্ষত রাজ্যটি ১৬ বছরের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়ে আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
মিয়ানমারের বেসামরিক ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) জানিয়েছে, রাজ্যটিতে ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১ হাজার ১৩৬টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকার রাখাইনের ১৭টি ছোট শহরকে দুর্যোগ কবলিত এলাকা বলে ঘোষণা করেছে। তবে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার তিন দিন পরও ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা বা আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রত্যাশিত ত্রাণ পৌঁছায়নি তাদের কাছে।