তাইওয়ানের বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে চীন শক্তিপ্রয়োগ করলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররাও পদক্ষেপ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। স্থানীয় সময় বুধবার (১০ নভেম্বর) নিউইয়র্ক টাইমস আয়োজিত একটি ফোরামে আলোচনায় তিনি একথা জানান।
তাইওয়ানে চীন হামলা করলে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা জানতে চাইলে জবাবে ব্লিঙ্কেন চীন শক্তিপ্রয়োগ করলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররাও পদক্ষেপ নেবে।
ব্লিঙ্কেন জানান, তাইওয়ান যাতে নিজেদের রক্ষা করতে পারে তা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বীপটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আমরা একা নই, অনেক দেশ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। পাশাপাশি আমার মনে হয় এটা বলাও ন্যায্য হবে যে বিশ্বের ওই প্রান্তের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রত্যয় কেবল আমাদের একারই নয়।
তিনি বলেন, অনেক দেশ আছে, ওই অঞ্চলভুক্ত এবং অঞ্চলটির বাইরেরও অনেক দেশ, যারা সেখানকার স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করার ক্ষেত্রে যে কোনো একতরফা পদক্ষেপকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখবে; তেমন কিছু ঘটলে তারাও ব্যবস্থা নেবে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীন আক্রমণ চালালে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করে নিজের প্রশাসনের ভেতরেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের তাইওয়ান সফরকে চায়না নীতির লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (১০ নভেম্বর) বেইজিং জানিয়েছে, তাইওয়ানের সঙ্গে সব ধরনের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ অবশ্যই অতিসত্বর বন্ধ করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দাবি করছে চীন। কাজেই গণতান্ত্রিক দ্বীপটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে শক্তিপ্রয়োগের ইচ্ছা উড়িয়ে দিচ্ছে না বেইজিং। কিন্তু তাইওয়ান নিজেকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে দাবি করে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সুরক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।