তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০০

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০৮:৪৮ পিএম

তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০০

তুরস্কে-সিরিয়া সীমান্তের গাজিয়ান্তেপ শহরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৬ শতাধিক ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩ হাজারেরও বেশি।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম দফায় আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প। এর ১১ মিনিট পর তুরস্কের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের একটি এলাকায় আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ দফায় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।

Turkey Syria 7

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের (ইউএসজিএস) দেয়া তথ্যানুসারে, তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের নূরদাগি শহরের পূর্বাঞ্চল ছিল ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্র। জায়গাটি নূরদাগি থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।

Turkey Syria 8-1

ইউএসজিএস জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। সিরিয়ার সীমান্তবর্তী গাজিয়ান্তেপ তুরস্কের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প এলাকা। ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, সিরিয়া, লেবানন এবং সাইপ্রাস থেকেও এই ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভূত হয়েছে।

Turkey Syria 9

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকে দেখা গেছে, দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে বিপুল সংখ্যক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই চাপা পড়েছেন। 

Turkey Syria 14

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমন সোইলো জানান, এ ভূমিকম্পে অন্তত ১০টি শহর আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত শহরগুলো হলো- গাজিয়ানটেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালত্য, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস। তুরস্কের পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়া, লেবানন এবং সাইপ্রাসেও ভূমিকম্পের প্রভাব টের পাওয়া গেছে।

turkey

উল্লেখ্য, তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে। ১৯৯৯ সালে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি ছিল ডাজসি এবং এই ভূমিকম্প কয়েক দশকের মধ্যে তুরস্কে সবথেকে মারাত্মক আঘাত হানা একটি ভূমিকম্প। সেই ভূমিকম্পে ইস্তাম্বুলে প্রায় ১ হাজার সহ ১৭ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল।

Turkey Syria 5

বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘকাল ধরে সতর্ক করেছেন যে একটি বড় ভূমিকম্প ইস্তাম্বুলকে ধ্বংস করতে পারে। অথচ নিরাপত্তা সতর্কতা ছাড়াই এখানে বিস্তৃত ভবনের অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Link copied!