পেরুতে একটি সোনার খনিতে আগুন লেগে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন শ্রমিক। এছাড়া আরও পৌনে দুইশো মানুষকে খনি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৬ মে) দক্ষিণ পেরুর আরেকুইপা অঞ্চলের ‘লা এসপেরানজা’ সোনার খনিতে আগুন লাগে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল ও উদ্ধারকারী দল। আগুন লাগার পরে উদ্ধারকাজ শুরু হলেও বাঁচানো যায়নি অনেকেই। মাত্র ২ জনকে ওই জ্বলন্ত খনি থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন থেকে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তবে সেখানে আর কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, পাহাড়ের পাশ থেকে আগুন ও ধোঁয়া বের হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগুন লাগার সময় খনি শ্রমিকরা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ মিটার নিচে কাজ করছিলেন।
খনিটি পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করতে ৩০ জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে যায়। এর আগেই সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
১৭৫ জন খনি শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে খনি সংস্থা ইয়ানাকুইহুয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এই অত্যন্ত দুঃখজনক সময়ে আমরা শোকাহত এবং উদ্ধারকৃত খনি শ্রমিকদের সহায়তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি’। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জরুরি তদন্ত চালানো হচ্ছে।
আঞ্চলিক গভর্নরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ওই সোনার খনিটি খুবই প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সেখানে পৌঁছাতে কাছের পুলিশ স্টেশনটির সদস্যদের সড়কপথে যেতে সময় লাগে ৯০ মিনিট। আর সবচেয়ে কাছের শহরে যেতে কয়েক ঘণ্টা লাগে। এই দূরত্ব জরুরি উদ্ধার প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে।
নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে পেরুর সংবাদমাধ্যম লা রিপাবলিকার এক প্রতিবেদনে জানা যায়।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সোনা উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি পেরু। দেশটিতে প্রতি বছর ১০০ টনের বেশি সোনা উৎপাদিত হয়। যা বিশ্বের মোট সরবরাহের প্রায় ৪ শতাংশ। গত ২০ বছরে পেরুর মতো ছোট দেশে এটিই সবচেয়ে বড় খনি বিপর্যয় এটি।