বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দর আগের দিনের তুলনায় ৬ শতাংশ কমেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রভাবে নতুন করে দেশে দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারে। তবে এদিন বিশ্ববাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের দর বেড়েছে।
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ক্রুডের দামও কমেছে অনেকটা। সোমবার এর দরপতন হয়েছে পুরো চার শতাংশ বা ২ দশমিক ৯৪ ডলার। এদিন প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল বিক্রি হয়েছে ৭০ দশমিক ৫৮ ডলারে।
কমেছে হিটিং অয়েলের দামও। সোমবার এর দাম ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমে বিক্রি হয়েছে ২ দশমিক ১৩৫ ডলারে।
তবে বেড়েছে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম। সোমবার এর দাম ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ বা ০.১৩৯ ডলার বেড়ে প্রতি ইউনিট বিক্রি হয়েছে ৩ দশমিক ৮২৯ ডলারে।
মূলত যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের মতো শীর্ষ ভোক্তা দেশগুলো করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পরই বাজার নিম্নমুখি। যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, বড়দিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে, ফলে ছুটির আগেই করোনাকালীন কঠোর বিধিনিষেধ ফের জারি হতে পারে। এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছিলেন, ফের ওয়ার্ক ফ্রম হোম নীতিতে ফিরতে পারে তার দেশ। এদিকে রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, বড়দিনে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যেতে পারে।