২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাজ্যে মিসাইল হামলার হুমিক দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
স্থানীয় সময় সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির একটি ডকুমেন্টারিতে বরিস জনসন এমন তথ্য দেন।
বিবিসির ওই ডকুমেন্টারিতে বলা হয়, রুশ বাহিনী সামরিক অভিযান শুরু করলে ইউক্রেনের পক্ষে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন উত্তর আটলান্টিক সামরিক নিরাপত্তা জোট-ন্যাটো। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর বিভিন্ন দেশ ইউক্রেনের পক্ষে এগিয়ে আসে। ন্যাটোর অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র যুক্তরাজ্যও ইউক্রেনকে অস্ত্র সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। ওই সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বরিস জনসন। পরে নানা অভিযোগের কারণে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।
যুদ্ধ শুরুর পরপরই রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে দীর্ঘ সময় ধরে কথা হয় বরিস জনসনের। এবিষয়ে এতদিন চুপ থাকলেও পুতিনের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্রিটেনের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
বরিস জনসন অভিযোগ করে বলেন, পুতিন তার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি’কে এক সাক্ষাৎকারে পুতিনের সঙ্গে ওই ফোনালাপকে ‘বিস্ময়কর’ বলেছেন বরিস।
বরিস বলেন, “ফোনালাপে তিনি পুতিনকে বলেছিলেন— ইউক্রেন রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ঘটনা ‘পুরোপুরি বিপর্যয়’ ডেকে আনবে। এর পরপরই পুতিন তার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দেন।
ওই ফোনালাপে পুতিনকে ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে যাওয়া থেকে সরে আসার অনুরোধ করেন বলে দাবি জনসনের। তিনি পুতিনকে সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রাখলে পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। রাশিয়ার সীমান্তে আরও সেনা মোতায়েন করবে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।
ওইসময় বরিস জনসনকে পুতিন বলেন, “বরিস আমি তোমাকে আঘাত করতে চাই না। একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ব্রিটেনকে হামলা করতে মাত্র এক মিনিট লাগবে।”
ন্যাটোতে ইউক্রেনে যোগদানের সম্ভাবনায় দীর্ঘদিন ধরেই বিরক্ত ছিলেন পুতিন। ফোনালাপে পুতিনকে জনসন বলেন, অদূর ভবিষ্যতেও ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে না। মূলত এর মধ্য দিয়ে পুতিনকে যুদ্ধের পথ থেকে সরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন জনসন।