জুলাই ৬, ২০২৩, ০৯:২৭ পিএম
রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৩ জুন বিদ্রোহ ঘোষণা করে পুতিন ও রুশ সেনাবাহিনীর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন প্রিগোঝিন। এসময় তার অনুগত বাহিনী মস্কো অভিমুখে যাত্রা করে। পরবর্তীতে বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর হস্তক্ষেপে মস্কো অভিযান বাতিল করে ওই দেশে আশ্রয় নেন প্রিগোঝিন।
তবে ভাগনার গ্রুপ প্রধান বর্তমান বেলারুশে অবস্থান করছেন না বলে নিশ্চিত করেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। তিনি বলেছেন, ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন এখন রাশিয়ায় আছেন, তিনি বেলারুশে নেই।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাজধানী মিনস্কে আয়োজিত বিদেশি মিডিয়ার সাংবাদিকদের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন,“যতটুকু জানি প্রিগোজিন এখন সেন্ট পিটার্সবার্গে আছেন, তিনি বেলারুশে নেই।”
গত মাসে ব্যর্থ বিদ্রোহের পর প্রিগোজিনের বেলারুশে চলে যাওয়ার জন্য ক্রেমলিনের সঙ্গে চুক্তি সত্ত্বেও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন।
তবে ভাড়াটে ওয়াগনার প্রধানের অবস্থান নিয়ে বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মন্তব্যের পর এবার প্রিগোজিনকে নিয়ে মুখ খুলল পুতিন সরকার। ক্রেমলিন জানিয়েছে, ভাগনার প্রধানকে ট্র্যাক করছে না রাশিয়া। তিনি রাশিয়ায় নেই বলেও জানায় ক্রেমলিন।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্ট পিটার্সবার্গে অবস্থিত ভাগনার গ্রুপ প্রধান প্রিগোঝিনের বাড়ির ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, সোনা, অস্ত্র, ছদ্মবেশ ধারণের সরঞ্জাম এবং বিশ্বাসঘাতকদের নির্যাতনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন বস্তু উদ্ধার করেছে রুশ সেনাবাহিনী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় একটি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত ‘৬০ মিনিট’ নামে একটি অনুষ্ঠানে গত ২৪ জুন ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা মালামালের ছবি এবং ফুটেজ প্রকাশ করা হয়।
উদ্ধার করা মালামালের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় বড় বক্স যেগুলো রাশিয়ান মুদ্রা রুবলে ভর্তি। বেশ কয়েকটি পরচুলা উদ্ধার করা হয় যেগুলো দিয়ে প্রিগোঝিন ছদ্মবেশ ধারণ করতেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তল্লাশি অভিযানে বিপুল পরিমাণ গুলিসহ বেশ কিছু ভারী অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। একটি হাতুড়িবিশেষ বস্তুও উদ্ধার করা হয়। বিশ্লেষকদের ধারণা, বিশ্বাসঘাতকদের ওই হাতুড়ি দিয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলতেন প্রিগোঝিন।
রুশ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, প্রিগোঝিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা নগদ অর্থের পরিমাণ প্রায় ৬০০ মিলিয়ন রুবল বা ৬৬ লাখ ডলার। ছিল কয়েকটি সোনার বারও।