ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৫:৪০ পিএম
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের ১০ প্রদেশ ও সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশের ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনও মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪৯ হাজার ছাড়িয়েছে।ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৩৫৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের ৪৩ হাজার ৫৫৬ এবং সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮০০ জন।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের তথ্যমতে, গত ৬ ফেব্রুয়ারির পর তুরস্কে ৭ হাজার ২০০ এর বেশি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। ভূমিকম্পে লাখেরও বেশি ভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ১০০ বছরের মধ্যে ভূমিকম্পটিকে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন-ডব্লিউএইচও) মতে ভূমিকম্পে আড়াই কোটির বেশি মানুষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ।
প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এই ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। বেশিরভাগ মানুষ তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। বহুতল ভবন ধসে পড়ে ঘুমন্ত মানুষের ওপর। মোমের মতো ধসে পড়ে একাধিক ভবন। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তৃত এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে যায়। মিসর, লেবানন ও সাইপ্রাস থেকেও কম্পন অনুভূত হয়। এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ফের ৬ দশমিক ৪ এবং ৫ দশমিক ৮ মাত্রায় দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পেও প্রাণহানি ও শতাধিক ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
এর আগে, ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।