ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০৩:৩৮ পিএম
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৬ শতাধিক ছাড়িয়েছে। আহত ৩ হাজারেরও বেশি। এই ভয়াবহ দুর্যোগে তুরস্কের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন, তুরস্কে সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
টুইটবার্তায় সুলিভান বলেন, ‘আমি তুরস্কের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের মধ্যে আছি এবং তাদের জানিয়েছি, এই দুর্যোগে তুরস্ককে সব প্রকার সহায়তার জন্য আমরা প্রস্তুত। তুরস্কের সঙ্গে যুগপৎভাবে আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট- ইউএসএইড) ও সরকারি অন্যান্য সরকারি সংস্থাকে তুরস্ক ও সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও সহায়তা পাঠানোর ব্যাপারটি দেখভাল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ভূমিকম্পে উভয় দেশে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। এতে অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা ও তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার।
সংস্থাটি আরও জানায়, প্রথম ভূমিকম্পের পর আরও কয়েকবার শক্তিশালী কম্পন (আফটার শক) অনুভূত হয়। সবশেষ কম্পনটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭ মাত্রার।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক টুইট বার্তায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা একসঙ্গে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠব। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ইউনিট সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস। অনেক ভবন ধসে পড়েছে ও অনেক মানুষ ভেতরে আটকা পড়েছেন।