দরকার হলে তিনি হুইল চেয়ার নিয়েই প্রচারে নামবেন। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালের কেবিন থেকে এমন বার্তাই দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে আহত হন মমতা। এরপর থেকেই তৃণমূল নেতৃত্বের পাশাপাশি দলের কর্মী-সমর্থকেরা চিন্তিত ছিলেন, আসন্ন ভোটের প্রচার কাজ কী ভাবে সামলানো হবে। দলনেত্রী আহত হয়ে পড়ে থাকলে এত বড় ‘দায়িত্ব’ কে সামলাবেন? নির্বাচন প্রক্রিয়াও সামলানো হবে কী ভাবে? বৃহস্পতিবার সে সব ভাবনারই জবাব দিলেন মমতা। জানিয়ে দিলেন, দরকার হলে তিনি হুইল চেয়ার নিয়েই প্রচারে নামবেন। একই সঙ্গে তিনি দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সংযত থাকার বার্তাও দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বেডে শুয়ে এক ভিডিও বার্তায় মমতা জানান, দুই এক দিনের মধ্যেই তিনি প্রচার শুরু করবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অনুরোধ করব সকলের কাছে, শান্ত থাকুন, সংযত থাকুন, ভাল থাকুন। এমন কিছু করবেন না যাতে মানুষের কোনও অসুবিধা হয়। আশা করি আমি আবার দু’তিন দিনের মধ্যেই নিজের ফিল্ডে ফিরে যেতে পারব। তবে হয়তো পায়ের সমস্যা থাকবে। কিন্তু আমি ম্যানেজ করে নেব। আমার মিটিং কিছুই আমি নষ্ট করব না। হয়তো কিছু দিন আমাকে হুইল চেয়ারে ঘুরতে হবে।’
এদিকে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ওপর ‘হামলা’র ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কাছে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছেন বিজেপি নেতারা। তাদের দাবি, হামলার পুরো ঘটনার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আনা হোক।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় হামলার পর থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, এই হামলার পিছনে বিজেপি-র হাত রয়েছে বলে। এ দাবির প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে লিখিত ভাবে ঘটনার বিচার চেয়ে আবেদন জানান বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া ও সব্যসাচী দত্ত।
সূত্র:আনন্দবাজার।