ডিসেম্বর ২৭, ২০২১, ০৮:০৫ পিএম
হাওড়ার চ্য়াটার্জি হাটে একটি ফ্ল্যাট থেকে এক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, ফেসবুকে সময় কাটানো নিয়ে গৃহবধুঁর সঙ্গে স্বামীর কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে।
পরিবারের ভাষ্য, তাদের দুই মেয়ে ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে ড্রয়িং ক্লাসে গিয়ে ফিরে এসে দেখে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। কলিং বেল বাজিয়েও দরজা খোলেনি কেউ। এরপর পুলিশে খবর দিলে দরজা ভেঙে দেখা যায় মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন গৃহবধুঁ মৌসুমী মাইতি। সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় স্বামী গৌতম মাইতিকে।
মৌসুমী দেবীর বড় মেয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মা মোবাইলে ফেসবুক দেখতো। ফেসবুক স্ক্রল করে যেত। এনিয়ে বাবার প্রবল আপত্তি ছিল। বাবা বলতো তুমি ফেসবুক দেখবে না। ফোন ঘাঁটবে না। মেয়েদের পড়াবে। মা সবই করতো। তারপরেও হয়তো বাবার কোনও প্রবলেম ছিল।”
পুলিশ জানিয়েছে, হাওড়ায় একটি পানশালায় ম্যানেজারের কাজ করতেন গৌতম মাইতি। বছর তিনেক আগে সপরিবারে চ্যাটার্জি হাট এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। দুই মেয়ে হাওড়ার একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে নবম ও তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মঘাতী গৌতম আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।