তামিলনাড়ুতে বন্যায় নিহত ১০, পানিবন্দী ২০ হাজার মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিসেম্বর ২০, ২০২৩, ০৫:৫৪ পিএম

তামিলনাড়ুতে বন্যায় নিহত  ১০, পানিবন্দী ২০ হাজার মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

ষ্টিপাতের পর বন্য়ায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের তামিলনাড়ুতে কয়েক সপ্তাহ আগের ঘূর্ণিঝড়ের পর নজিরবিহীন বন্য়ায় রাজ্যের দক্ষিণের জেলাগুলোতে অন্তত ২০ হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছে। 

এমন পরিস্থিতিতে উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দিচ্ছে সেনাবাহিনী ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)।

রাজ্যের মুখ্য সচিব শিব দাস মিনাকে উদ্ধৃত করে এএফপির খবরে বলা হয়, বন্যায় অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ১২ হাজার ৬০০ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।

এনডিটিভি জানায়, এই বন্যার প্রভাবে অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে । তুতিকোরিন জেলার কালেক্টর জি লক্ষ্মীপতি বলেন, “বন্যায় থুথুকুড়ি জেলার শ্রীবৈকুন্তম শহর ও আশপাশের এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ আমরা আক্রান্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণ নিয়ে যেতে পারব বলে আশা করছি। বিমান থেকে খাবার ফেলা ও ত্রাণ সরবরাহ এখনো চালু রয়েছে।”

বন্যার পানিতে শ্রীবৈকুন্তমের বড় একটি অংশ বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতির সাথে লড়াই করছেন। সেনাবাহিনী এবং এনডিআরএফ দলগুলো দুর্গম জলাবদ্ধ এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে, যেখানে আটকে থাকা বাসিন্দারা উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছেন। 

স্থল মাধ্যমে যাতায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ বিমান থেকে ফেলা  অব্যাহত রয়েছে।

সংসদ সদস্য এমকে কানিমোঝি বলেন, ‘এখানে খাবার সরবরাহ, মানুষের কাছে পৌঁছানো বা তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সবকিছুই বেশ চ্যালেঞ্জিং। আমার এমনসব এলাকায় বিমানযোগে খাবার সরবরাহ করেছি যেখানে নৌকাও পৌঁছাতে পারে না। গতকাল দমকল বাহিনীর একটি গাড়ি পানিতে ভেসে গেছে। এমনকি এনডিআরএফ ও সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।’  

উজানে তামারাবারানি নদী উপচে যাওয়ায় বাঁধ খুলে সেখান থেকে ১ দশমিক ২ লাখ কিউসেক পানি ছাড়ার পর পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। উদ্ধারকারী দলগুলোর প্রচেষ্টার পরেও দুর্গম হওয়ায় জলাবদ্ধ এলাকায় উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে।

ঘুর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডব থেকে এখনো সামলে উঠতে পারেনি তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই ও এর আশপাশের এলাকাগুলো। 

এলাকাগুলোতে যে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে তা গত ৪৭ বছরেও হয়নি। দুই ধরনের দুর্যোগের আঘাতে ধ্বংসলীলা থেকে উঠে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জরুরি সহায়তা চেয়েছে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন।

বন্যায় তিরুনেলভেলি, থুথুকুড়ি, কন্যাকুমারী ও তেনকাসিতে ত্রাণ তৎপরতা ও অবকাঠামো সংস্কারের জন্য জাতীয় দুর্যোগ ও ত্রাণ তহবিল থেকে অবিলম্বে ২ হাজার কোটি রুপি চেয়েছেন তিনি।

Link copied!