ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ আঘাত হানার আগেই পাকিস্তানের প্রাণ হারালেন ২৪ জন

ছবি: সংগৃহীত

আরব সাগরের উত্তর-পূর্বাংশে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ পাকিস্তানের করাচি থেকে মাত্র ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে এরই মধ্যে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ জন।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ আঘাত হানার আগে উত্তরের আপার দিরে ভারী বৃষ্টিতে ভূমিধসের কারণে বাড়ির ছাদ ধসে একই পরিবারের ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, আজ ভোরে ভূমিধসের সময় নিহতরা রাময়াল গ্রামে তাদের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ ছাড়া সিন্ধুর জামশোরো, দাদু ও মিরপুরখাস জেলায় ভারী বৃষ্টিতে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। টোবা টেক সিংয়ের একটি গ্রামে দুই ভাইবোন নিহত ও ভারী বৃষ্টিতে বাড়ির ছাদ ধসে নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের তিনজন আহত হন।

পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর (পিএমডি) জানায়, ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়টি ধেয়ে আসছে। তবে এখনও করাচিতে আছড়ে পড়েনি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় এরই মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আজ সারাদিন সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে ঝোড়ো বাতাস ও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।

এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় গুজরাটের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’। এ জন্য উপকূলীয় এলাকা কর্ণাটকে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ-মুহূর্তে গুজরাটের নালিয়া শহরের পশ্চিম উপকূল থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান করছে।

ভারতের গুজরাটের জামনগর, সুরাট, পোরবন্দর, মোরবি, স্বর্কা ও কুচ জেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’র প্রভাবে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এসব জেলার অনেক এলাকায় এরই মধ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ১৮৯১-২০২৩ সালের মধ্যে আরব সাগরে মোট তিনটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল। তবে আগস্টে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় বিরল একটি ঘটনা।

সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

• বিষয় :
• ঘূর্ণিঝড়
• আরব সাগর
• ঘূর্ণিঝড় আসনা