ভারতের ছত্তিশগড়ে মাওবাদী বিরোধী অভিযান, মৃত ৩৩

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫, ১২:৩০ পিএম

ভারতের ছত্তিশগড়ে মাওবাদী বিরোধী অভিযান, মৃত ৩৩

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ছত্তিসগড়ের বিজাপুরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অপারেশনে ৩১ মাওবাদী মারা গেছেন। এই অপারেশনে ভারতের দুই জওয়ানও মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

বিজাপুরের ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যানে আট ঘণ্টা ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর এই বিশেষ অভিযান চলে। সেখানেই ১১ জন নারী-সহ ৩১ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়। মহারাষ্ট্রের সীমানা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে মাওবাদী বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছিল সকাল আটটায়। পুলিশ জানিয়েছে, বিকেল চারটে পর্যন্ত মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াই হয়। খবর ডিডাব্লিউ বাংলা।

যে দুইজন নিরাপত্তা কর্মী মারা গেছেন, তাদের মধ্যে একজন ডিস্ট্রিক্ট রিসার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) হেড কনস্টেবল এবং অন্যজন বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসিএফ) কনস্টেবল। এছাড়া দুইজন নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন।

এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল ডিআরজি, এসটিএফ, বাস্তার ফাইটার্স এবং রাজ্যস্তরের পুলিশ ও মাওবাদী বিরোধী বিশেষ বাহিনী।

পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল বিবেকানন্দ সিনহা মিডিয়াকে জানিয়েছেন, এই জাতীয় উদ্যানে নিরাপত্তা বাহিনী আগে বেশি সক্রিয় ছিল না। আগে ভাবা হতো, এখানে অপারেশন চালানো সম্ভব নয়। তা সত্ত্বেও তারা অপারেশন চালায়।

বাস্তার অঞ্চলের পুলিশেোর আইজি সুন্দররাজ পি জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারে করে আহতদের রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত জওয়ানরা ভালো আছেন।

ছত্তিশগড় পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৫ সালে তাদের রাজ্যে ৬৫ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। ২০২৪ সালে মারা গিয়েছিল ২১৪ জন মাওবাদী। ২০২৩ সালে ২০ ও ২০২২ সালে ৩০ জন মাওবাদী মারা গিয়েছিল। গতমাসেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে মাওবাদী শীর্ষনেতা চলপতির।

ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান ও তার কাছে থাকা অবুঝমাড়ের জঙ্গল মাওবাদীদের নিরাপদ আশ্রয় বলে গণ্য করা হতো। এই দুই জায়গাতেই অভিযান চালিয়ে সাফল্য পেলো নিরাপত্তা বাহিনী।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আবার জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারত থেকে মাওবাদীদের নির্মূল করা হবে।

Link copied!