আজ রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কলকাতাজুড়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড। আজ সকাল থেকেই কলকাতার মেয়র, রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়কের বাড়িসহ অন্তত এক ডজন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। ছয় ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পর স্থানীয় সময় বেলা তিনটায় তৃণমূলের বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে সিবিআই।
সকালে প্রচুরসংখ্যক সিআরপিএফ জওয়ান নিয়ে দুই বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রীর বাসভবনে হানা দেয় সিবিআই। প্রথমে কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের একটি দল।
এরপরই জানা যায় যে রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী তথা কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। এ সময় দুজনেই বাড়িতে ছিলেন। এই লক্ষ্যে দুই নেতার বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে অভিযানের কথা শুনে সেখানে জড়ো হন তাঁর দলের অনেক সদস্য। এ সময় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অনেকে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপিবিরোধী স্লোগান দেন ফিরহাদের সমর্থকেরা।
তাঁরা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক কারণেই এই সিবিআই হানা হয়েছে। বাড়ির বাইরে সিআরপিএফ জওয়ানদের সাথে কথা–কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিম।
হালিশহর ও কাঁচড়াপাড়া পৌরসভার দুই সাবেক পৌরপ্রধানের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআইয়ের দল। বেলা গড়াতে তল্লাশি দেওয়া বাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে। দুপুরের দিকে জানা যায়, একই সাথে তল্লাশি চলছে কাঁচড়াপাড়া, ব্যারাকপুর, হালিশহর, দমদম, উত্তর দমদম, কৃষ্ণনগর, টাকি, কামারহাটি পৌর এলাকায়।
বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী ও মধ্যমগ্রাম পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান রথীন ঘোষের বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টায় হানা দেয় ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা। তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল দুর্নীতির। এ সময় বাড়িতেই ছিলেন রথীন ঘোষ। তাঁকে একটানা সাড়ে ১৯ ঘণ্টা জেরা করে রাত পৌনে দুইটায় ফিরে আসে ইডির কর্মকর্তারা।