ইসরায়েলের একটি সামরিক গোয়েন্দা ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। হামলার জেরে তেল আবিবে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ইসরায়েলি মিডিয়ার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলের তেল আবিব শহরতলির নিরিট এলাকায় রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এর ফলে সেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা তেল আবিবের শহরতলির সামরিক গোয়েন্দা ইউনিট ৮২০০-এর গ্লিলট ঘাঁটিতে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর বাসভবনে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলা
হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি হয়নি বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
লেবানন থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক জানান, তেল আবিব ও হাইফাতে রকেটের একটি ব্যারেজ ছোড়া হয়েছে। এই প্রথম হিজবুল্লাহ মাঝারি পাল্লার রকেট ব্যবহার করল। হিজবুল্লাহর হামলার পরপরই তেল আবিবে সাইরেন বেজে উঠে এবং ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।
এদিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে হারিরি হাসপাতালের পাশে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় শিশুসহ ৪ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতালটির ‘উল্লেখযোগ্য’ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় বলে জানায় ইসরায়েল। এরপর ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সামিরক বাহিনী।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা এখনো অব্যাহত। গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত প্রায় এক লাখ মানুষ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হামাসকে সমর্থন দিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিয়মিত হামলা করে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ।
তবে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইসরায়েল লেবাননের দক্ষিণে নির্বিচারে হামলা শুরু করলে ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে বড় আকারে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। লেবাননে বিমান হামলার পাশপাশি গত মাস থেকে স্থল অভিযানও শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।