অক্টোবর ৯, ২০২৩, ০৮:০২ পিএম
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সাথে ইসরায়েলের সংঘর্ষ আজ তৃতীয় দিনে পৌঁছেছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তৃতীয় দিন গড়িয়ে গেলেও দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বর্তমানে অনেকটা অন্ধকার ও আতঙ্কে রাত পার করছেন ফিলিস্তিনিরা।
এর মধ্যে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়াসহ ‘সর্বাত্মক’ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।
সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এই অবরোধের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, পানি, খাবার এবং জ্বালানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
ইসরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের বলেছেন, তাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের `নিয়ন্ত্রণ` তাদের হাতেই আছে।
তিনি জানান, সোমবার সকালে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেলেও `এখন সেখানে কোনো যুদ্ধ চলছে না`।
`তবে এখনো সেখানে অল্প কিছু হামাস যোদ্ধা থেকে যেতে পারে`, বলে যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, হামাসের আর কোনো সদস্য যেন সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে ট্যাংক ও ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে গাজা উপত্যকার ক্ষমতায় রয়েছে হামাস। এই গোষ্ঠী শনিবার ভোরের দিকে আচমকা রকেট নিক্ষেপ শুরু করে ইসরায়েলে। পরে গাজা উপত্যকায় স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। তৃতীয় দিনে পৌঁছানো উভয়পক্ষের চলমান লড়াইয়ে প্রাণহানির সংখ্যা ১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।
প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বাস করে। ২০০৭ সালে প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি বাহিনীর কাছ থেকে হামাস ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর ইসরায়েল এবং মিসর গাজার ওপর বিভিন্ন ধরনের অবরোধ আরোপ করে। ফলে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর অনেকটা নির্ভর করে চলতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের। এমন বাস্তবতায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহ স্থগিত করলে চরম মানবিক পরিস্থিতি দেখা দেবে।