ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) বরাতে দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইসরায়েল দাবি করছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার মুরাদ আবু মুরাদ নিহত হয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে হামাস থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যে সদর দপ্তর থেকে হামাস আক্রমণ পরিচালনা করছিল, সেই স্থাপনাকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা করেছিল ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
মুরাদ হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের ড্রোন ও এরিয়াল অপারেশনস বিভাগের প্রধান ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত বার্তায় আইডিএফ বলেছে, ‘গাজার যে গোপন ঘাঁটি থেকে ড্রোন ও অন্যান্য এরিয়াল হামলা পরিচালনা করে হামাস, শুক্রবার সেই ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে বিমানবাহিনী। এতে ঘটনাস্থলেই মুরাদ আবু মুরাদসহ হামাসের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।’
আইডিএফ বলেছে, ‘গত সপ্তাহে ইসরায়েলে করা হামাসের হামলায় বড় ভূমিকা রেখেছিলেন আবু মুরাদ। হ্যাং গ্লাইডারে ভেসে হামাসের যোদ্ধাদের ইসরায়েলে অনুপ্রবেশের পরিকল্পনাতেও ছিলেন তিনি।’
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও জানায়, একই রাতে পৃথক বিমান হামলায় হামাসের কমান্ডো বাহিনীর অন্তর্গত কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে তারা আঘাত হেনেছে। দেশটির বিমানবাহিনী বলেছে যে, ‘প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং বিমানবাহিনী সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাবে।’
এক্স প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী বলেছে, ‘গত রাতে আইএএফ যুদ্ধবিমানগুলো গাজা উপত্যকা জুড়ে বিস্তৃত আকারে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে নুখবা ফোর্সের ঘাঁটিও ছিল।’
পরবর্তীতে এক্স-এ দেওয়া আরেক পোস্টে নতুন তথ্য জানায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। তারা বলেছে, ‘কিছুক্ষণ আগে আইডিএফ সৈন্যরা সন্ত্রাসীদের একটি ঘাঁটিকে শনাক্ত করেছে যেটা লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। মনুষ্যবিহীন যান ব্যবহার করে সেই ঘাঁটির বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে।’
অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্য মতে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার ৬৬ শতাংশই মহিলা এবং শিশু। ইসরায়েলি বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আহতের সংখ্যা এক হাজারের বেশি।