বুরকিনা ফাসোতে সোমবার একটি মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে। মসজিদে নামাজের সময় এই হামলা হয়। এতে বহু হতাহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই দিনে একটি গির্জায় হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ফজরের নামাজের সময় বুরকিনা ফাসোর নাটিয়াবোয়ানি শহরের একটি মসজিদ ঘিরে ফেলে বন্দুকধারীরা। এরপর গুলি চালানো হয়।
পৃথক প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, বুরকিনা ফাসোর পূর্বাঞ্চলে একটি মসজিদে হামলায় কয়েক ডজন মুসলমান নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় ও নিরাপত্তা সূত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে।
সোমবার একটি নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ‘রোববার ভোর ৫টার দিকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা নাতিয়াবোনির একটি মসজিদে হামলা চালায়, যার ফলে কয়েক ডজন লোক নিহত হয়।’
একজন স্থানীয় বাসিন্দা টেলিফোনে বলেছেন, ‘নিহতরা সবাই মুসলমান, তাদের বেশিরভাগই পুরুষ, তারা ভোরে নামাজের জন্য মসজিদে এসেছিল।’
অন্য একটি স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ‘সন্ত্রাসীরা খুব ভোরে শহরে প্রবেশ করে। তারা মসজিদটি ঘেরাও করে এবং মুসল্লিদের ওপর গুলি চালায়। এসব মুসল্লি সেখানে দিনের প্রথম নামাজের জন্য জড়ো হয়েছিল। তাদের মধ্যেই একজন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় নেতাসহ বেশ কয়েকজনকে গুলি করা হয়।’
উল্লেখ্য, বুরকিনা ফাসোর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা বর্তমানে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। দেশটির কর্তৃপক্ষ আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সাথে যুক্ত ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এসব গোষ্ঠী সাহেল অঞ্চলের বিশাল অংশ দখল করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।
এছাড়া গত তিন বছরে দেশটির মসজিদ ও গির্জাগুলোকে বারবারই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।