নির্বাচনকে সামনে রেখে পাকিস্তানে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির জোট গঠনের জন্য প্রস্তাব তৈরির ব্যাপারে সম্মত হয়েছে দেশটির দুই রাজনৈতিক দল পিএমএল-এন ও পিএমএল-কিউ।
বুধবার ( ৬ ডিসেম্বর ) পিএমএল-এনের প্রধান নওয়াজ শরিফ এবং পিএমএল-কিউয়ের প্রধান চৌধুরী সুজাত হুসেন এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।
১৫ বছর আগে পিএমএল-এন থেকে আলাদা হয়ে সাবেক সেনাপ্রধান ও স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফের নেতৃত্বাধীন সরকারে যোগ দেন সুজাত। তিনি স্বল্প সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৫ বছর পর প্রথমবারের মতো নওয়াজের সাথে গতকাল বৈঠক হয় তাঁর।
নওয়াজ শরিফের সাথে তাঁর ভাই পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ, দলের প্রধান সংগঠক মরিয়ম নওয়াজ শরিফসহ দলের আরও কয়েক জ্যেষ্ঠ নেতারা মিলে সুজাতের সাথে বৈঠক করতেই লাহোরে তাঁর বাড়িতে যান।
এ সময় সুজাতের সাথে ছিলেন পিএমএল-কিউয়ের নেতা চৌধুরী ওয়াজাহাত হুসেন, চৌধুরী সালিক হুসেন ও শাফায় হুসেন।
বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি না দিলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ৪০ মিনিটের বৈঠকটি আন্তরিক পরিবেশে হয়েছে। দুই দলই একমত হয়েছে, নিজ নিজ দলের সংশ্লিষ্ট কমিটিতে আলোচনার পর বিভিন্ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে দুই দল।
পিএমএল-কিউয়ের একটি সূত্রমতে, দুই দলই জাতীয় পরিষদের চারটি ও পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের আটটি আসন ভাগাভাগি করে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
পিএমএল-কিউয়ের প্রধান চৌধুরী সুজাত হুসেন বলেছেন, অতীতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, তা ভুলে যাওয়ার সময় হয়েছে। নওয়াজ শরিফকে নিয়ে জনগণ অনেক বড় আশা করে রেখেছেন ।
পিএমএল-কিউ নেতা চৌধুরী শাফায় হুসেন বলেন, নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বে পিএমএল-এনের প্রতিনিধিদল সুজাত হুসেনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে তাঁর সাথে দেখা করেছেন। দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেছেন।
শাফায় হুসেন আরও বলেন, জাতীয় পরিষদের চারটি ও প্রাদেশিক পরিষদের আটটি আসনের বিষয়টি এরই মধ্যে পিএমএল-কিউ মিটমাট করে ফেলেছে। পিএমএল-কিউয়ের প্রার্থীরা ‘ট্রাক্টর’ প্রতীকে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।