পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের শস্য রপ্তানির ব্যাপারে শর্তপূরণ করলেই কৃষ্ণসাগরীয় শস্যচুক্তিতে রাশিয়া ফিরবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার ফোনালাপে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে এ কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
২০২২ সালের জুলাই মাসে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগরীয় শস্যচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। এ চুক্তির অধীনে ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর থেকে নিরাপদে শস্য রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিল। গত মাসে রাশিয়া এ চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করা নেয়। মস্কোর অভিযোগ, পশ্চিমারা রাশিয়ার শস্য ও সার রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি করছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে ক্রেমলিন এক বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়, শস্যচুক্তিতে রাশিয়ার শর্তপূরণে পশ্চিমা দেশগুলোর অগ্রগতির ঘাটতি রয়েছে। ফলে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো অর্থহীন হয়ে পড়েছে।পশ্চিমারা প্রকৃত অর্থে রাশিয়ার শর্তপূরণ করলে মস্কো চুক্তিতে ফিরবে বলেও ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর প্রতিবাদে মস্কোর ওপর পশ্চিমা দেশগুলো বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাশিয়ার শস্য ও সার ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই। তবে পুতিন প্রশাসনের অভিযোগ,অর্থ পরিশোধে বিধিনিষেধ, লজিস্টিক ও বীমাজনিত কারণে শস্য ও সার রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এদিকে, ফোনালাপের বিষয়ে এরদোগানের কার্যালয়ও এক বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়,কৃষ্ণসাগরীয় শস্যচুক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন পদক্ষেপ এড়িয়ে যাওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন তুর্কি প্রেসিডিন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি এ চুক্তিকে শান্তির সেতু হিসেবেও উল্লেখ করেন।