অক্টোবর ২৬, ২০২৩, ০৭:২৭ এএম
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে শত মানুষ। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়তে চার লাখ ইসরায়েলি তরুণ স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধা হিসেবে নাম লিখিয়েছে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে সমুদ্র সৈকতে বিলাসে মত্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পুত্র।
যুদ্ধের নৃশংসতার মাঝেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে নেতানিয়াহুপুত্র ৩২ বছর বয়সী ইয়াইরের মায়ামির সমুদ্র সৈকতে তোলা একটি ছবি।
ইয়াইরের এই ছবি লাখো ইসরায়েলি যোদ্ধার মনে জন্ম দিয়েছে ক্ষোভের। তরুণ যোদ্ধারা বলছেন, যে সময় হামাসের হামলার বিরুদ্ধে লড়তে তারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে মৃত্যুর মুখোমুখি নেমেছেন সে সময় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে দূর দেশে জীবন উপভোগ করছেন।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, লেবাননের সীমান্তে হিজবুল্লাহর সাথে সম্মুখযুদ্ধে লড়াইরত এক সেনা বলেন, আমি হিজবুল্লাহর সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ করছি। অন্যদিকে ইয়ার (নেতানিয়াহুর ছেলে) মিয়ামি সৈকতে তার জীবন উপভোগ করছে। আমরা কাজ ছেড়ে, পরিবার ও সন্তানদের ছেড়ে দেশ ও পরিবারের সুরক্ষার জন্য বাড়ি ছেড়ে এসেছি। এই পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ী তারা কিন্তু আসেনি।
ওই সেনা আরও বলেন, আমাদের ভাই, বাবা, ছেলেরা এই যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অবস্থায় সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন যেখানে ইয়াইর এখনও নেই। এটা একটা দেশের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা তৈরি করে।
গাজা সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থানে দায়িত্ব পালনরত আরেক যোদ্ধা বলেন, যে রাজ্য থেকে আমি এসেছি সেখানে আমার চাকরি ছিল, আমার পরিবার আছে। কঠিন এই সময়ে আমার দেশ ও মানুষকে বাদ দিয়ে সেখানে থেকে যাওয়ার মতো কোনো উপায় ছিল না আমার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ছেলে কোথায়? তিনি ইসরাইলে নেই কেন?
চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় পাড়ি জমিয়েছেন নেতানিয়াহুর ছেলে ইয়াইর। নেতানিয়াহুর তৃতীয় স্ত্রী সারার গর্ভে জন্ম নেয়া ইয়াইর পেশায় পডকাস্টার। প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দেন তিনি। ২০১৮ সালে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।