গোপনে দেশ ছেড়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ১১:৩৭ এএম

গোপনে দেশ ছেড়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন

ছবি: সংগৃহীত

গোপনে দেশ ছেড়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ থাকসিন সিনাওয়াত্রা। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই ব্যক্তিগত বিমানে তিনি দেশ ছাড়েন বলে পুলিশের বরাতে জানিয়েছে সিএনএন।

প্রতিবেদন বলছে, শিগগিরই আদালতের রায়ে কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন বলে জল্পনার মধ্যেই সাবেক এই প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে গেছেন। তবে তিনি কোথায় গেছেন এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। থাকসিনের পক্ষে অবশ্য চিকিৎসার জন্য দেশ ছাড়ার কথা জানানো হয়েছে। 

দেশ ছাড়ার সময় থাকসিনের সঙ্গে আদালতের কোনো লিখিত অনুমতি ছিল না বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এ ছাড়া তার দেশত্যাগের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন থাকসিনের আইনজীবী।

পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিবাসন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করার পর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার কিছু পরে থাকসিনের ব্যক্তিগত বিমানটি ব্যাংককের ডন মুয়াং বিমানবন্দর থেকে উড়ে যায়। তার দেশ ত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না।

ফ্লাইট ট্র্যাকিংয়ের তথ্যানুযায়ী, থাকসিনের বিমান সিঙ্গাপুরের দিকে উড়ে যাওয়ার পর পশ্চিম দিকে ঘুরতে শুরু করে এবং বেশ কয়েকবার চক্কর দেয়। এরপর বিমানটি ভারতের দিকে রওনা দেয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স থাকসিনের রাজনৈতিক দল পিউ থাই পার্টির মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও এ বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেনি। 

এদিকে থাকসিন শুক্রবার ভোরে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানান, তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর ভ্রমণের ইচ্ছা করেছিলেন কিন্তু থাই ইমিগ্রেশনে কয়েক ঘণ্টা ধরে আটকে ছিলেন। এক্সে তিনি লিখেছেন, যেহেতু সিঙ্গাপুরে অবতরণ আর সম্ভব ছিল না, তাই আমি রুট পরিবর্তন করে দুবাই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। কারণ দুবাইতে আমার নিয়মিত ডাক্তার আছেন।

থাকসিনের পরিবার থেকে তিনিসহ এ পর্যন্ত ৬ জন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তার মেয়ে পায়ে তং তার্ন সিনাওয়াত্রা। ২০২৩ সালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। তবে ২০২৫ সালের আগস্টে আদালতের আদেশে প্রধানমন্ত্রীর পদ হাতছাড়া হয় তার।

সিএনএন লিখেছে, থাইল্যান্ডে শুক্রবার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন এবং নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা। এর আগেরদিন দেশ ছেড়ে গেলেন থাকসিন। তার প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতাসীন পিউ থাই দল ক্ষমতা হারাতে পারে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

২০০৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ৭৬ বছর বয়সী থাকসিন ১৫ বছর স্বেচ্ছা নির্বাসনে কাটান। তার মেয়ে গত বছর থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হন। এক সপ্তাহ আগে অভিযোগের তদন্তের পর তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। 

গত ২৫ বছর ধরে থাকসিন দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সফল রাজনৈতিক হিসেবে পরিচিত। ২০০১ সাল থেকে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই তার জোটের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

Link copied!