ছবি: সংগৃহীত
এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত হওয়া ফ্লাইটটিতে থাকা যাত্রীদের জাতীয়তা অনুযায়ী পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, উড়োজাহাজটিতে ভারতের নাগরিক ছিলেন ১৬৯ জন। এর পাশাপাশি ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ ও একজন কানাডীয় নাগরিক ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে উদ্ধারকাজ পরিচালনা ও উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের পেছনের কারণ জানতে সহায়তা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যেসব ব্রিটিশ নাগরিক কনস্যুলার সহায়তা প্রয়োজন মনে করছেন বা তাদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন, তাদের মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে বিধ্বস্ত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ ফ্লাইটটি। উড়োজাহাজটি ছিল বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার। গুজরাটের আহমেদাবাদে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় সেটি। উড়োজাহাজটি ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডন যাচ্ছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানা যায়, আজ বেলা ১টা ১৭ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই আহমেদাবাদের মেঘানি এলাকায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গেই উড়োজাহাজটিতে ব্যাপক বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়।
ভারতের অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, বিমানে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, দুজন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল। তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দার।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, মাটির ওপর থেকে ঘন ধূসর ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা যায়, বিমানটি সম্পূর্ণ জ্বালানিভর্তি ছিল। যার ফলে বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এখন পর্যন্ত হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উদ্ধারকাজে অংশ নিতে ঘটনাস্থলে একাধিক ফায়ার ইঞ্জিন ও অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
ডিজিসিএ জানিয়েছে, খুব শিগগির এ দুর্ঘটনায় আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হবে। এ বিষয়ে বোয়িংয়ের একটি কারিগরি দলও যুক্ত হতে পারে।
এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কোনো সরকারিভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দীর্ঘপথের ফ্লাইট হওয়ায় জ্বালানির ভার বেশি ছিল, যা দুর্ঘটনার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা ও উদ্ধার তৎপরতা কঠিন করে তুলেছে।